মোহিনী তিলকের বশীকরণ প্রয়োগ
“ওঁ নমো তিলক ঈশ্বর৷৷
তিলক মহেশ্বর।
তিলক জয়৷৷
বিজয়কার৷৷
তিলক কাঢ়ী কে ৷৷
নিকলু ঘর সে৷
মোহু সকল সংসার।।”
বিধি—মোহিনী তিলক হেতু গোরোচন, কর্পূর, কস্তুরী এই সব বস্তু ঐ মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে তিলক লাগালে তা দ্বারা
সর্বজন বশীভূত হবে।
প্রবল বশীকরণ প্রয়োগ
“ওঁ নমঃ হ্রীং ঠং ঠঃ
স্বাহা ৷৷”
বিধি—এই মন্ত্র প্রয়োগের আগে একে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
দশ হাজার মন্ত্র জপ হলেই এটা সিদ্ধ হবে। মন্ত্র জপ যে কোন মঙ্গলবার থেকেই শুরু
করতে হবে। মন্ত্র সিদ্ধ হবার পর যখন এই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে তখন বিনৌলা,
সরিষা এবং ইঁদুরের গর্তের মাটি তিনবার অভিমন্ত্রিত করে যে
ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করতে হবে অর্থাৎ তার কাপড়ের উপর ঐগুলি ফেলতে হবে। এর ফলে
উক্ত স্ত্রী বা পুরুষ সাধকের বশীভূত হবে।
স্ত্রী বশীকরণের জন্য
“ওঁ নমো অরহংতাণং।।
অরে অরিণী মোহিনী ৷
(অমুকং) মোহয়-মোহয় স্বাহা ৷৷ ”
বিধি–যে কোন শুভদিনে এই মন্ত্র এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজার
বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার 'অমুক'-এর স্থানে উক্ত স্ত্রীর নাম বলে চাউল বা ফুলে এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করে
অভিমন্ত্রিত করে উক্ত স্ত্রীর মাথায় ফেলতে পারলে সে। সাধকের বশীভূত হবে এবং
সাধকের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করবে।
পুরুষ বশীকরণের জন্য
“ওঁ নমো ভাস্করায়।
ত্রিলোকাত্মনে অমুকং
শ্রীপতি মেং বশ্যং॥
কুরু কুরু স্বাহা॥ ”
বিধি– যে কোন শুক্রবার এই
মন্ত্র জপ করতে হবে ১০০৮ বার। এবার কর্পূর, চন্দন,
তুলসী এবং গোদুগ্ধ এক সাথে পিষে কপালে তিলক লাগিয়ে ইচ্ছিত
ব্যক্তির সাথে দেখা করলে সে ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে বশীভূত হয়ে যাবে। 'অমুকং’-এর স্থানে পুরুষের নাম উল্লেখ করতে
হবে।
স্ত্রী আকর্ষণের জন্য
“ওঁ নমো দেব
প্রাদিরূপায় অমুকস্য আকর্ষণ
কুরু কুরু স্বাহা।।”
বিধি—যে কোন শনিবার এই মন্ত্র ১০০০ বার জপ করে সিদ্ধ
করে নিতে হবে। এবার ভোজপত্রের উপর এই মন্ত্র লিখতে হবে। যাকে আকর্ষণ করার দরকার ‘অমুকের' স্থানে তার নাম লিখে ঐ ভোজপত্রটি
খাঁটি মধুতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। নয়দিন পরে কামনা পূর্ণ হবে।
সকল স্ত্রী-পুরুষ বশীকরণের জন্য
ওঁ হ্রীং শ্রীং ।।
ক্লীং সর্বপুরুষ ৷৷
সৰ্বস্ত্রী হৃদয়৷৷
হারিণী মম বশ্যং।
কুরু বষট্ হ্রীং।।”
বিধি—যে কোন শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে চতুর্দশী পর্যন্ত
এই মন্ত্র জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার যে কোন ব্যক্তির কাছে গিয়ে এই মন্ত্র
১০৮ বার জপ করলে উক্ত ব্যক্তি সাধকের বশীভূত হয়ে যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন