রোগীর উপর জ্বিন-ভূত হাজির করিবার আশ্চর্য
নিম্নোক্ত নকশাটি কাগজের টুকরায় আলাদাভাবে এক হাজার একটি তাবিজ লিখিবে। অতঃপর এই আমলের যাকাত স্বরূপ প্রবাহিত নদীতে তাবিজগুলি একেকটি করিয়া নিক্ষেপ করিবে। তারপর অন্য একটি কাগজে এই নকশাটি লিখিয়া যাহাকে জ্বিন-ভূতে ধরিয়াছে তাহার সম্মুখে রাখিবে এবং নকশার কাল স্থানটিতে দৃষ্টি রাখিতে বলিবে। এই প্রকারে আমল করিলে নকশার মোয়াক্কেলগণ জ্বিন-ভূতকে ধরিয়া আনিয়া রোগীর নখের ভিতরে হাজির করিবে। তখন রোগী নিজ চক্ষে দেখিতে পাইবে সে যাহা দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে। আমেল এই সময় যাহা কিছু জানিবার ও জিজ্ঞাসা করার তাহা করিবে। ইনশাআল্লাহ সে ঠিকমত উত্তর দিবে। নকশাটি এইঃ
জ্বিনের বাদশাহকে হাজির করিবার দ্বিতীয় আশ্চর্য তদবীর
জ্বিনকে হাজির করা বা অনুগত করা যখন কঠিন কাজ, তখন জ্বিনের বাদশাকে হাজির করা আরও কষ্ট সাধ্য ও দুঃসাহসিক ব্যাপার। অতি সাহসী ব্যক্তি যদি টিকমত নিম্নোক্ত আমলটি আদায় করে, তবে আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরতে জ্বিনের বাদশা উপস্থিত হইয়া আনুগত্য স্বীকার করিতে বাধ্য হইবে। আমলের নিয়ম কানুন নিম্নে উল্লেখ করা হইল।
যদি কোন আমেল ব্যক্তি জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিয়া তাহার বাধ্যগত করিবার জন্য ইচ্ছা করে, তবে সে ব্যক্তি কখনো মিথ্যা কথা বলিবেনা, নামাজ রোজা ঠিকমত আদায় করিবে, সর্বদা সদ্ভাবে সৎপথে চলাফিরা করিবে। পরনিন্দা তথা গীবত বলিবেনা, মানুষের কুৎসা বলিবেনা, কোন ছোট বড় পাপের কার্যাদি করিবেনা। নেশার বস্তু পান করিবে না, হালাল বস্তু দ্বারা পানাহার করিবে। কোন প্রকারে হারাম কার্যাদী করিবেনা বা হারাম বস্তু ভক্ষন করিবেনা। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার খাঁটি বান্দা হইতে হইবে।
এই ভাবে মাসাধিককাল অতিবাহিত হইবার পরে, যে কোন একদিন খুব ভোরে নিদ্রা হইতে জাগিয়া অজু গোছল করতঃ ফজরের নামাজ আদায় করিবে। তারপর আল্লাহতাআলার দরবারে খালেছ তওবা করিয়া নিজ হাছিলের জন্য প্রার্থনা করিবে। অতঃপর ঐ অবস্থায় বসিয়া সূরায় এখলাছ একশত বার পাঠ করিবে। তারপর একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করিয়া চার কুল একবার করিয়া পাঠ করিবে। ইহার পর সূরায় জ্বিনের প্রথম পাঁচ আয়াত একবার পাঠ করিয়া ঐ সময়ের জন্য আমল শেষ করিবে। অতঃপর জোহর, আছর ও মাগরিব নামাজের পরেও উক্তরূপে আমল করিবে।
রাত্রে এশার নামাজ আদায় করিয়া নিম্নোক্ত আজীমতটি বা দোয়াটি সাতশতবার পাঠ করিবে। তারপর প্রত্যহ একাধারে চৌদ্দদিন পর্যন্ত এশার নামাজের পরে এই গ্রাযীমতটি পাঠ করিতে থাকিবে। কিন্তু পরবর্তী দিন গুলিতে প্রথম দিনের মত চার ওয়াক্ত নামজের পরে উক্তরূপ আমল করিতে হইবেনা, তবে একশতবার করিয়া সূরায় এখলাছ পাঠ করিতে হইবে। (অর্থাৎ বাকী তের দিন পর্যন্ত ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিব নামাজের পরে একশতবার করিয়া সূরায় এখলাছ পাঠ করিতে হইবে)
জিন হাজির করার দোয়াঃ
উচ্চারণ : হুয়াল আছাছুনা হুয়া ইয়া কারীমু, ইয়া কারীমু, ইয়া কারীমু ইয়া কারীমু, ইয়া কারীমু, ইয়া কারীমু।
১০৮০ প্রকাশ থাকে যে, এই চৌদ্দ দিনের আমল হইতেছে, মূল আমলের বা উদ্দেশ্যের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি মাত্র। অর্থাৎ এই আমলের মাধ্যমে এতটুকু যোগ্যতা লাভ হইল যে, এখন জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিবার জন্য মূল আমল আদায় করিলে উহা ব্যর্থ হইবেনা। ইনশাআল্লাহ্!
মূল আমলের নিয়ম পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হইলঃ * যেই দিবসে জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিবার ইচ্ছা করিবে, সেই দিন রাত্র এক প্রহরের পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে অর্থাৎ রাত দশটার পরে, একটি সুন্দর চেহারার ভদ্র ও সভ্য নাবালেগ ছেলেকে উপস্থিত করিয়া আমেলের সম্মুখে একটি মোড়া অথবা জল চকির উপর বসাইবে এবং কিছু মাটিয়া তৈল একটি মাটির নতুন প্রদীপের উপর দিয়া সম্মুখে রাখিবে। অতঃপর এক টুকরা নতুন সাদা কাপড়ে নিম্নোক্ত তাবিজের নকশাটি লিখিয়া সলিতা বানাইয়া উক্ত মাটির প্রদিপে রাখিয়া আগুন দ্বারা জ্বালাইবে।
পূর্বেই দুধ, চিনি ও আটা বা ময়দা সহকারে কিছু শিরনি বা ফিরনী তৈরী করিয়া রাখিবে। যখন প্রদিপ জ্বলিতে থাকিবে তখন ঐ 'শিরনী বা ফিরনী সম্মুখে রাখিয়া ফাতেহা পাঠ করিয়া হযরত রাছুলে পাক (সঃ), ছাহাবায়ে কেরামগণ ও হযরত সোলামান (আঃ) এর রূহ্ েপাকের উপর ছওয়াব রেছানী করিয়া উক্ত শিরনী গরীব মিছকিনদের মাঝে বিতরণ করিয়া দিবে।
অতঃপর একখানা সাদা চিনা মাটির প্লেটে নিম্নোক্ত নকশাটি কাল রংয়ের কালি দ্বারা লিখিবে। লিখার পরে প্লেট খানা উক্ত ছেলেটির হাতে দিবে এবং তাহাকে বলিয়া দিবে যে, সে যেন লিখিত নকশাটির খালি স্থানটিতে দৃষ্টিপাত করিতে থাকে, কথামত বালকটি এক দৃষ্টিতে প্লেটের নকশার খালি স্থানটির প্রতি তাকাইয়া থাকিবে।
এই অবস্থায় আমেল লোকটি উপরোক্ত আযীমতটি এগার বার পাঠ করিয়া প্রতিবারে বালকটির শরীরে ও মাথায় ফুঁক দিবে। আমেলের ফুফুঁক দেওয়ার সাথে সাথে বালকটি প্লেটের ভিতরে দেখিতে পাইবে যে, জ্বিনের বাদশা খুব সুন্দর সাজে একটি সওয়ারীর উপর উপবেশন করিয়া উপস্থিত হইয়াছে। তখন বালকটি আমেলের কথামত বাদশাকে তাঁহার ভক্তিপূর্ণ ছালাম জ্ঞাপন করিবে। এবং আমেল ব্যক্তি বাদশাকে হাজির করিবার উদ্দেশ্যাবলী বালকের মাধ্যমে আরজ করিবে।
ইহার পর বাদশা আমেলের উদ্দেশ্যাবলীর জওয়াব দিবেন এবং কিভাবে সমাধা হইবে তাহা বলিয়া দিবেন। তারপর বাদশা এই কথা বলিয়া বিদায়
হইবেন যে, আজকের মত বিদায় নিলাম, পুনরায় আমাকে প্রয়োজন হইলে ডাকিও, আমি উপস্থিত হইব।
মহা মূল্যবান নকশাটি এইঃ
আমেল ব্যক্তি খুব সাবধানের সহিত কাজ করিবে। যখন তখন ছোট খাট বিষয়ে জ্বিনের বাদশাকে হাজির করিবেনা। নেহায়েত জরুরী কোন কঠিন ব্যাপারে শুধু ডাকিবে। নতুবা হীতে বিপরীত হইতে পারে। কোন কোন সময় আমেলের জীবনেরও ক্ষতি হইতে পারে। জ্বিনের বাদশা রাগ হইয়া তাহাকে মারিয়াও ফেলিতে পারে। অতএব খুব হুসিয়ারের সহিত সাবধানতা অবলম্বন করিয়া চলিবে। এবং জ্বিনের বাদশার সহিত আদবের সাথে ও বিনয়ের সহিত কথাবার্তা বলিবে এবং তাহার নির্দেশের বাহিরে কোন পদক্ষেপ নিবেনা। এই কথাগুলির উপর বিশেষ যত্নবান হইবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন