কিছু সহজ ম্যাজিক শিক্ষা Some simple magic lessons

 মোছা অঙ্ক বলিবার সঙ্কেত ম্যাজিক

এক ব্যক্তিকে দুইটি অঙ্ক প্রস্তাব করিয়া তাহাকে বলিবে যে এই উভয় অঙ্কের মধ্যে কোন একটি অঙ্ক তুমি মনে মনে মুছিয়া ফেল, আমি বলিয়া দিতেছি তুমি উভয়ের মধ্যে কোন্‌টি মুছিয়াছ।

সঙ্কেতঃ- ৯ নয় সংখ্যার দ্বারা হরণ করা যায়, কেবল এই প্রকার দুইটি অঙ্ক তাহাকে বলিবে। যেমন- ৩৬, ৬৩, ৮১ ইত্যাদি।

এইরূপ দুইটি অঙ্ক বলিয়া তাহাকে একটি মুছিতে বলিবে। এখন তুমি তাহাকে যে দুইটি অঙ্ক বলিয়াছ, তাহা একত্রে ঠিক দাও। একুনে যাহা হইবে তাহার মধ্য হইতে একটি অঙ্ক মুছিয়া অবশিষ্ট যাহা থাকিবে তাহা তুমি শুনিয়া ঠিক করিবে। ৯ নয় কিংবা ১৮ আঠার করিতে হইলে যে সংখ্যা আবশ্যক করে, সেই অঙ্কটিই মুছিয়াছে।

উদাহরণ:– মনে কর, ১৬২ এবং ২৬১ মনে করিয়াছিলেন, তাহার যোগফল হইল ৪২৩। এখন এই যোগফলের মধ্যের অঙ্ক ২ মুছিলে অবশিষ্ট ৪ এবং ৩ থাকিল। এখন এই দুইটিকে যোগ করিলে যোগফল হইল ৭ সাত। এই ৭ সাতকে ৯ করিতে হইলে ২ দুই সংখ্যার আবশ্যক করে। ইহাতেই বুঝা যাইতেছে, তিনি ২ দুই মুছিয়াছেন।

{tocify} $title={Table of Contents}

ভানুমতীর মায়া পেট্রা ম্যাজিক

এই খেলার বিষয়-বস্তু এই যে, একটি পেটরার ভিতর ৯/১০ বৎসর বয়স্ক বালককে পুরিয়া ঐ পেট্রা বন্ধ করিয়া একটি শানিত ছোরা অথবা তরবারি দ্বারা পেটরার মধ্যের বালককে কাটিয়৷ সেই রক্ত দর্শকমন্ডলীকে দেখাইবে। তৎপর বালক পেট্রা হইতে নাচিতে নাচিতে বাহির হইবে; কিন্তু পেটরা যেমন বন্ধ ছিল তেমনই থাকিবে। ব্যাপার অত্যন্ত ভয়াবহ, সাবধানতার সহিত এই কার্য সমাধান করিতে হইবে।

প্রথমে দরকার একটি পেটরা এরূপভাবে তৈয়ারি করিয়া রাখিবে যে, তাহার মধ্যে ৯/১০ বৎসরের একটি বালক বসিতে বা সঙ্কুচিতভাবে শয়ন করিতে পারে। আর সেই পেট্রার ডালাখানি এমন হইবে যেন তাহার উর্ধ্বের ফাক এক ফুটের অধিক হয় এবং রজ্জুর কব্জা দ্বারা পেটরার ডালা আটাকান থাকে। কিন্তু যে দিক দিয়া ডালা খুলিতে হয়, সেই দিকে পেট্রার গাত্রে ও তাহার ঠিক ঊর্ধ্বভাগে এক একটি ছিদ্র করিয়া এক বা দেড়হস্ত পরিমাণে দুই গাছি রজ্জু ছিদ্রপথে প্রবেশ করাইয়া ভিতর দিকে একটি গাইট ও ফাঁস দিতে হইবে, যেহেতু যে বালক পেট্রার মধ্যে থাকিবে, সে ঐ রজ্জুর ফাস খুলিলে পেট্রার ডালা অনায়াসে খুলিতে পারে।

এই খেলা আরম্ভ করিবার পূর্বে বাজীকর তাহার শিক্ষিত বালকের নিকট কিঞ্চিৎ গন্ধকের গুঁড়া ও স্পঞ্জ ভিজা কারমাইন • দিয়া রাখিবে। সে যেন উহা অতি সাবধান করিয়া রাখিয়া দেয়। তৎপরে খেলা আরম্ভ করিয়া তাহার হস্তদ্বয় রজ্জুর দ্বারা বাঁধিয়া দিবে। এমনভাবে বাঁধিবে যেন সে দাঁত দিয়া খুলিতে পারে। এইবারে তাহাকে পেট্রার মধ্যে পূরিয়া ডালা ঢাকা দিবে এবং ডালার ছিদ্রপথে রজ্জু দিয়া পেট্রা বন্ধন করিবে। পরে কাল রংয়ের মশারী পেটার উপর ঢাকা দিয়া নিজের লোক চারিজনকে (যাহারা দর্শকমধ্যে বসিয়া আছে) ডাকিয়া ঐ মশারীর চারিটি কোণ ধরিয়া নাড়িতে বলিবে ও নিজে বক্তৃতা করিতে থাকিবে। সেই অবকাশে বালক নিজের হস্তের বন্ধন খুলিয়া রাখিবে এবং পূর্বে যে স্থান ছোরা বসাইবার জন্য চিহ্ন করা আছে, বালক সে স্থান হইতে সরিয়া বসিবে। এইবার বাজীকর সাবধানে পূর্বচিহ্নিত ছিদ্র দিয়া পেট্রা মধ্যে ছোরা বসাইবে, তখন বালক পেটরা মধ্য হইতে ঐ ছোড়ায় গন্ধক গুঁড়া ও কারমাইন মাখাইয়া দিবে। দর্শকমণ্ডলীকে বক্তৃতাসহকারে মোহিত করিয়া রক্তাক্ত ছোরা তুলিয়া দেখাইবে। এই ব্যাপার দেখিয়া দর্শকমণ্ডলী ভয়ার্ত হইয়া উঠিবে ও তোমার চারিজন লোকও ভয় পাইয়াছে, এমন ভাব দেখাইয়া মশারী কাঁপাইতে থাকিবে। সেই অবসরে বালক পেটরা খুলিয়া নাচিতে নাচিতে উপস্থিত হইবে।

$ads={1}

ভানুমতীর শূন্যে অবস্থান ম্যাজিক

এই খেলা দেখাইতে হইলে প্রথমে এরূপ কেদারা দুখানা করিয়া লইবে যে কেদারার হাতল নাই; কিন্তু খুব শক্ত। আর একখানা কেদারা তাহারও হাতল নাই, কিন্তু খুব পাতলা।

এইবার শক্ত কেদারা দুখানি সামনাসামনি করিয়া রাখিবে। পরে পাতলাখানি সামনের এক পাশের দিকে পাতিবে। তাহার পর ঐ কেদারা তিনখানির উপর চিৎ হইয়া শয়ন করিবে। এইভাবে শয়ন করিলে বাজীকরের মাথা শক্তখানির উপর আর পায়ের গোড়মুড়া অন্য শক্তখানির উপর পড়িল। এইবার বাজীকর মস্তক ও পায়ে ভর দিয়া নিশ্বাস বন্ধ করিয়া দেহকে খুব শক্ত করিলে পিঠের নীচে ফাক হইয়া যাইবে। সুতরাং পাতলা কেদারাখানিতে তখন তোমার দেহভার কিছুমাত্র থাকিবে না, কাজেই তখন ঐ কেদারাখানি দেহের নীচে ও উপর দিয়া ঘুরাইয়া কেদারার সম্মুখে বিপরীত দিকেও আনিতে সক্ষম হইবে, আর ঐ কেদারাখানি বাহিরে টানিয়া আনিতে পারা যাইবে। অভ্যাসবলে এই ক্রিয়া অতি সহজেই আয়ত্ত করা যায়, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। লোককে সঙ্কেত করিলে ঐ লোক ছিদ্রপথে মাথা গলাইয়া ফাঁপা মুণ্ডের মধ্যে আপন মাথা প্রবেশ করাইবে। তখন তুমি দর্শকমণ্ডলীকে বলিবে, আমি উহাকে কথা কহিতে বলিতেছি। দর্শকগণ যাহা জিজ্ঞাসা করিবেন, সে তাহার উত্তর দিবে। ঠিকমত দেখাইতে পারিলে প্রত্যেক লোকই আশ্চর্যান্বিত হইবে। কাল কাপড়ের গৃহ, টেবিলের উপরিস্থিত ছিদ্র ও কাটামুন্ডটি নির্দোষ হওয়া চাই, যেন দর্শকবৃন্দ সন্দেহ করিতে না পারে। মুণ্ডটির মুখের ভিতর কাটা থাকা চাই, কথা কহিবার সময় খনাভাবে কথা কহিতে হইবে। ভৌতিক ডিম্ব

একটি পাত্রে পানি লইয়া উহাতে কিছু মিউরেটিক এসিড দিয়া তাহাতে একটি হাঁসের ডিম দিলে দেখিবে ডিমটি তৎক্ষণাৎ ডুবিয়া যাইবে। তখন দর্শকমন্ডলীকে বলিবে, মহাশয়গণ ! এই ডিম আমার আজ্ঞাকারী এবং উহাতে আমার ভৌতিক কাণ্ড সংক্ষিপ্ত আছে। আমি যখন শিস দিব, তখনই ডিম ভাসিয়া উঠিবে। তোমার এই কথায় অবশ্যই দর্শগণ বিস্ময় ও কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া তোমাকে শিস দিতে অনুরোধ করিবে। তখন মন্ত্রাদি যেন বলিতেছ এইভাবে ক্ষণকাল বিলম্ব করিবে। এদিকে দেখিবে, এসিডের বাষ্পডিম্ব উপরে উঠিতেছে কি না। যেই উঠিতে দেখিবে, আর অমনি শিল্ তখনই ডিম পানিতে ভার্সিয়া উঠিবে।

$ads={1}

টাকা না কাটিয়া দ্বিখন্ড করা ম্যাজিক

একখানি কাঠের মধ্যখানে (2) এইরূপ চিহ্নিত প্রকারের তিনটি আলপিন বসাইয়া তাহার মাথার উপর একটি রূপার টাকা রাখিবে এবং তাহার নীচে খানিক ফ্লাওয়ারস অব সালফার রাখিয়া আগুন জ্বালিয়া দিবে। ঐ দ্রব্যটি পুড়িয়া গেলে দেখিবে, টাকার কিয়দংশ উড়িয়া গিয়াছে।


ফিতা ভস্ম করা ম্যাজিক

প্রথমে এক হাত ফিতা লইয়া ভাল করিয়া ভাঁজ করতঃ সাবধানে হস্ততালুতে লুক্কায়িত করিয়া অন্য এক হাত ফিতা লইয়া দর্শকবৃন্দকে দেখাইয়া বল, মহাশয়গণ। আমি এই ফিতাকে ভস্ম করিয়া সেই ভস্ম আবার ফিতাতে পরিণত করিব, এই কথা বলিয়া ফিতাটি অগ্নিতে দগ্ধ করিবে। পরে সেই ছাই লইয়া হস্ততালুতে রাখিয়া লুক্কায়িত ফিতা বাহির করিয়া দেখাইবে। সাবধানে ইহা সম্পন্ন করিতে পারিলে দর্শকগন মোহিত ও চমৎকৃত হইবেন, সন্দেহ নাই।

খড় দিয়া শূন্যে বোতল তোলা ম্যাজিক

এইরূপ একটি খড় লইবে, যেন সে খড়টি বাঁকান কি মোচড়ান না হয়। এইরূপ একগাছি ভাল শক্ত খড় বাছিয়া লইয়া ভূজাকৃতি করিয়া বাঁকাইবে। পরে ঐ বজ্রদিক্‌ একটি বোতলের মধ্যে এরূপভাবে প্রবেশ করাইয়া দিবে যে, বোতলের পাশে ঠেকিয়া ইহা আটকাইয়া যায়। এইবার খড়টি ধরিয়া অনায়াসেই তুমি বোতলটিকে শূণ্যমার্গে তুলিতে পারিবে।

সুরাকে দুগ্ধ করা ম্যাজিক

এনিস নামক সুরার সহিত পানি মিশাইলে ইহা দুগ্ধাকার ধারন করিবে।


মদকে পানি করা ম্যাজিক

পোর্ট মদ সলিউসন অব সুবাসিটেট্র অব লেড় মিশ্রিত করিলে পানির ন্যায় হইবে।


পিপাসিত ডিম্ব ম্যাজিক

একটি ডিমের খোলায় ছিদ্র করিয়া উহার মধ্যে একটি জোঁক পুরিয়া মোম দ্বারা ঐ ছিদ্র বন্ধ করিয়া পানির কিনারায় রাখিলে পানির গন্ধে ডিমের মধ্যাস্থ জোঁক পানির দিকে যাইবে; সুতরাং ডিমটি গড়াইতে গড়াইতে যাইবে তুমি বলিবে, এই ডিমের দারুণ পানি পিপাসা পাইয়াছে, তাই পানি খাইবার জন্য যাইতেছে। তোমার এই কথায় সকলেই মোহিত হইবে। জ্বলন্ত দীপশিখা ভক্ষণ

একটি প্রজ্বলিত বাতি মুখের নিকট লইয়া গিয়া নিশ্বাস টানিয়া • লইবে। তাহা হইলে ঐ শিখা তোমার মুখের মধ্যে প্রবিষ্ট হইবে অথচ মুখ পুড়িবে না।


কৃত্রিম ভূমিকম্প ম্যাজিক

লৌহচূর্ণ (সূক্ষ্ম) ৪৫০ গ্রাম, ভাল গন্ধক (সূক্ষ্ম) ৪৫০ গ্রাম, এই উভয় দ্রব্য একত্রে মিশ্রিত করতঃ মাঠের মধ্যে অর্ধহস্ত পরিমাণ গর্ত খুড়িয়া ঐ মিশ্রিত দ্রব্য উক্ত গর্তে দিয়া মাটি চাপা দিবে। সাত আট ঘণ্টা পরে দেখিতে পাইবে, ঐ স্থল মুহুর্মুহুঃ কম্পিত ও স্ফীত হইতেছে। ইহাতে সেই স্থান দিয়া ধূমরাশি ও অগ্নিশিখা উত্থিত হইতেছে।


কৃত্রিম বিদ্যুৎ ম্যাজিক

টিনের একটি নল প্রস্তুত করিয়া তাহার মুখ কিঞ্চিৎ প্রশস্ত ও উহার মুখে অনেকগুলি ছিদ্র করিবে। তৎপরে তাহাতে ধূনা পূরিয়া প্রদীপের শিখায় ধরিয়া ইতস্ততঃ করিলেই বিদ্যুৎ খেলিতে থাকিবে ।


রৌপ্যবৃক্ষ উৎপাদন ম্যাজিক

প্রথমে একটি বোতলে ৬ আউন্স একোয়াকরটিল্ আরক দিয়া তাহাতে ১ আউন্স চাঁদি রূপার টুকরা দিবে, তাহা হইলে ঐ রূপা দ্রব হইয়া যাইবে; তখন অন্য বোতলে ৬ আউন্স একোয়াকরটিলে কিছু পানি মিশ্রিত করিয়া লইবে, এইবার প্রথম বোতলটিতে দ্বিতীয় বোতলের পানি ৫৮ গ্রাম ঢালিয়া দিবে। অল্প দিনের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রূপায় পত্র উৎপন্ন হইয়া বৃক্ষাকারে পরিণত হইবে। এই বৃক্ষ প্রায় দু'তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সীসার বৃক্ষ

একটি কাচের মুখওয়ালা বোতল লইয়া উহার মধ্যে সীসকচূর্ণ ও পাহাড়ের বা ঝরনার পানি দিবে, পরে এক টুকরা দস্তা তামার তারে বাঁধিবে ও ঐ বোতলের মুখের ছিপি তারের অপর দিকে বাঁধিবে। এইবার দস্তাটি বোতলের ভিতর ঝুলাইয়া দিয়া ছিপি আঁটিয়া দিবে। কিছুদিনের মধ্যে ঐ তার বৃক্ষের ন্যায় হইবে।

$ads={1}

অগ্নি ফোয়ারা ম্যাজিক

ফসফরাস ২০ রতি, ৪০ রতি দস্তা চূর্ণের সহিত মিশ্রিত করিয়া কাচ নির্মিত জারে দিবে। এবং উহাতে ৬ আউন্স পানি ও ৩ আউন্স সালফিউরিক এসিড দিলেই উহা প্রজ্বলিত হইয়া হাইড্রোজেন গ্যাস ঝর্নার ন্যায় উত্থিত হইয়া অগ্নি ফোয়ারা সদৃশ সুদৃশ্য হইবে।


বেত্র হইতে অগ্নি উৎপাদন ম্যাজিক

প্রথমে একগাছি চীনদেশীয় বেত্র (যাহা দিয়া চৌকি ছাওয়া যায়) সংগ্রহ করিয়া উহার মধ্যখানে চিরিয়া লইবে। অতঃপর ঐ দুইগাছি রৌদ্রে শুষ্ক করতঃ পরস্পর ঘর্ষণ করিলেই উহা হইতে অগ্ন্যুৎপাদিত হইবে । ইহা চকমতি হইতেও সহজসাধ্য।


একটি বৃক্ষে নানাবিধ পুষ্প ম্যাজিক

প্রথমে এড্‌লার বৃক্ষশাখা সংগ্রহ করিয়া উহাকে লম্বাভাবে চিরিবে ও উহার মধ্যের শাস চাঁচিয়া বাহির করিয়া লইবে। এইবার নানা জাতীয় পুষ্পের বীজ ও কলিকা লইয়া দুইটি চেরার মধ্যে দিয়া ঐ দ্বিখণ্ড ডালকে মৃত্তিকা লেপন পূর্বক রজ্জুদ্বারা বন্ধন করিবে। পরে গুঁড়া মৃত্তিকা দ্বারা টবে কিংবা মৃত্তিকা নির্মিত টবে শাখা রোপণ করিবে ও প্রতিদিন তাহাতে পানিতে সেচেন করিলে ঐ শাখা হইতে মূল জন্মিয়া বৃক্ষ হইবে ও নানাজাতীয় বীজ থাকায় নানাবিধ পুষ্প জন্মিবে। সদ্যবৃক্ষ উৎপন্ন

প্রথমে কুসুম ফূলের বীজের তৈলের সহিত তুলসী প্রভৃতি ক্ষুদ্র বৃক্ষের বীজ লইয়া মৃত্তিকা পাত্রে ভিজাইয়া রাখিবে। পরে ঐ পাত্রটিকে চাপা দিয়া মৃত্তিকা মধ্যে ৮/৯ দিন প্রোথিত করিয়া রাখিবে। পরে পাত্রটি তুলিয়া তাহা হইতে সেই বীজ লইয়া মৃত্তিকাতে রোপণ করিলে ১ ঘণ্টার মধ্যেই বৃক্ষ উৎপন্ন হইবে ।

$ads={1}

পানিতে আগুন লাগা ম্যাজিক

“প্রথমে একটি কাচ নির্মিত গ্লাসে গরম পানি দিয়া উহাতে ১ রতি ফসফরাস দিবে। পরে মৎসের একটি পটপটী লইয়া তাহার মধ্যে অক্সিজেন নামক বায়ু প্রবেশ করাইয়া রজ্জু দ্বারা মুখ বন্ধ করিয়া দিবে। যখন পানিতে আগুন জ্বালা খেলা দেখাইবে তখন ঐ পটপটী পানিতে ফেলিয়া দিলেই উজ্জ্বল অগ্নি দেখা যাইবে।


তৈল বিনা আলো ম্যাজিক

ফসফরাসের শলাকা প্রস্তুত করিয়া একটি শিশিতে রাখিয়া তাহাতে অগ্নি সংযোগ করিবে। (তৈলের প্রদীপ হইতে উজ্জ্বলতর আলো হইবে) যদি ঐ শিশি শীতল এবং বায়ুস্পর্শ না হয় তবে ঐ আলোটি সম্বৎসর সমান থাকে।


দগ্ধ সূতায় আংটি ম্যাজিক

প্রথমে ২ হাত সূতা লইয়া মূত্রে বা লবণ পানিতে ডুবাইয়া রাখিবে। পরে ঐ সূতা শুকাইয়া তাহাতে একটি চিক্কণ আংটী বাঁধিয়া ঝুলাইয়া দিবে। অতঃপর ঐ সূতায় আগুন দিলে সূতা পুড়িয়া যাইবে অথচ আংটি পড়িবে না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন