পরী সাধনা
সর্বাগ্যে আমাদের জানা প্রয়োজন পরী সাধনা কে
করবে? কেন করবে? জগতে যতগুলো শক্তি সাধনা
রয়েছে তার প্রতিটির’ই রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু
উদ্দেশ্য। আমরা আমাদের নিজ ব্যক্তি সাধনা
সিদ্ধির জন্যই বিভিন্ন সাধনা করে থাকি। অনেক
সাধনা রয়েছে অর্থ প্রাপ্তির জন্য, অনেক সাধনা
সম্নান প্রতিপত্তির জন্য, অনেক সাধনা সাংসারিক
জীবনে সুখ প্রাপ্তির জন্য। তেমনি পরী সাধনার
রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য। অনেক মেয়ে বা
নারী আমাদের নিকট পরী সাধনা করার জন্য
অভিপ্রায় ব্যক্ত করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবিকে পরী
সাধনা কোন মেয়েলি সাধনা নয়, কোন নারী এই
সাধনায় বিন্দু পরিমান উপকৃত হবে বলে মনেও হয় না।
পরী সাধনা মূলত পুরুষদের জন্য একটি সাধনা, এই
সাধনার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অবিবাহীত পুরুষের
আত্মিক ও যৌবিক চাহিদা পূর্ণ করা ও সেই সাথে
আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি, তবে কেউ যদি শুধু
আর্থিক উন্নতীর জন্য এই সাধনা করেন তবেও সে
নিশ্চিত বিফল হবে। কারন এখানে বিষয়টি এমন যে
আপনি একটি বিত্তশালী মেয়েকে বিয়ে করলেন
এতে করে আপনার যেমন একটি নারী সঙ্গ হলো সেই
সাথে আপনার আর্থিক সহযোগিতা হলো কিন্তু যদি
মেয়েটিকে বিয়ে না করেন তবে সে আপনাকে
ভিক্ষাও দিবে কি না সেটি অনিশ্চিত!!! তেমনি পরী
সাধনার ক্ষেত্রটিও এমনি। তবে এ যাবৎ পর্যন্ত
যতগুলো শক্তি সাধনার সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি,
সাধনা বিধি দেখেছি, ক্লাইন্টদের সফলতার হার
নিরিক্ষণ করেছি তাতে পরী সাধনার মত সহজ সরল
কোন সাধনা জগতে নেই, স্বল্প সময়ের কম
পরিশ্রমে
এর চাইতে ভালো কোন সাধনাই জগতে নেই। তবে
এখানে একটাই জটিল শর্ত হচ্ছে যে কোনও লুচ্চা
প্রকৃতির, নারী দেহ লোভি, বিবাহিত পুরুষের দ্বারাও
এ সাধনা সম্ভব নয়। এই সাধনায় ভয় ভিতির বা কোন
শারীরিক ক্ষতির আশংকা নেই। আপনি যদি
পরবর্তীতে বিয়ে করতে চান তবেও সমস্যা নেই তবে
আপনি বিয়ে করলে বা অন্য নারীতে আশক্ত হলে এই
সাধনা আপনা হতেই বিলিন হয়ে যাবে।
আমরা এ যাবৎকাল পর্যন্ত পরী সাধনার জন্য সর্বমোট
তিনটি প্রকৃয়া বা নিয়ম সংগ্রহ করতে পেরেছি যার
মধ্যে এশিয়া মহাদেশের পরিমন্ডলে দুটি নিয়মে
সাধনাটি খুব সহজেই সফল হয়। আমরা আপনাদের সাথে
পর্যায়ক্রমে এ দুটি নিয়ম নিয়েই আলোচনা করবো।
তবে পূরনো কথাটি আবারও নুতন করে বলছি (কখনোই
আপনি সিদ্ধগুরুর স্বার্নিধ্য ছাড়া একা কোন সাধনা
করতে যাবেন না।)
মন্ত্রঃ ”বিসমিল্লাহী
রাহিমান রাব্বে ইন্নি মঙ্গল
ফান্তসির”
সাধনা বিধিঃ প্রথমেই গুরুর আর্শিবাদ প্রাপ্ত হয়ে
তার অনুমতি সাপেক্ষে একটি শুভ সময় মন্ত্রটি
নির্দিষ্ট সংখক বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার আপনাকে এমন একটি গৃহ নির্বাচন করবেন যে
ঘরে কোন মহিলার যাতায়াত নেই বা কোন নারী
সেখানে প্রয়োজনেও যায় না। এবার আপনাকে
আপনার পোশাক নির্বাচন করতে হবে, পরী সাধনার
জন্য রেশমী বা পশমী কাপড়’ই উপযুক্ত, আপনি খুব
রঙ্গিন অর্থাৎ ঝকমকে নতুন পোষাক পরিধান করবেন
সেই সাথে মাথায় পাগড়ি বা বিয়ের সময় বর যে
ধরনের টোপড় পরে তেমন নতুন সুন্দর টোপড় পড়তে
পারেন। এবার চন্দ্রমাসের প্রথম রাত্রি হতেই ( সেদিন
যদি বৃহষ্পতিবার হয় তবেই ভালো) একটি পাঠ বা
মোটা কাপড়ের তৈরী সবুজ রঙ্গের আসন পেতে
বসবেন। সামনে বড় মাপের তিনটি তিন রঙ্গা
মোমবাতি জ্বালাবেন, ঘরে সুগন্ধি ছড়িয়ে
দিবেন,
নিজ শরীরেও সুগন্ধি ব্যবহার করবেন, প্রয়োজনে ঘরে
কিছু টাটকা সুগন্ধি ফুলের ব্যবস্থা করে রাখতে
পারেন, এবার একটি তামা বা পিতলের
থালায়
আমাদের নিকট হতে প্রাপ্ত নকশাটি কস্তুরি, মেশক,
গোলাপ জ্বল দিয়ে সুন্দর করে আকঁবেন। সেটি আপনার
সামনে স্থাপন করবেন। সমস্ত কাজগুলো রাত্রি ১২ টার
পর করবেন। এবার খুব সুন্দর করে যে কোনও দরুদ শরীফ
১০০ বার তেলাওয়াত করে উক্ত মন্ত্রটি এমন ভাবে
পড়বেন যেন আপনি নিজ কানে শুনতে পান। আপনার
মন্ত্র জপ অন্তত্য ৩ ঘন্টা পর্যন্ত চলবে এরপর আপনি
সেই অবস্থায় মোমবাতি নিভিয়ে সেই আসনেই
ঘুমিয়ে পড়বেন। এভাবে পর পর কয়েকদিন করলেই
( সাধারনত ৩-৭ দিন সময়
লাগে) পরী এসে আপনার
সামনে হাজির হবে। সে আসলে প্রথমেই আপনাকে
তার নাম জানতে হবে তার পরীবার সর্ম্পকে
বিস্তারিত জানবে। তার থাকার জন্য বাসস্থানের
ব্যবস্থা করে রাখবে। কারন সে আপনার সাথে
সর্ম্প্যে করলে তার জামায়াত বা তার পরীবারের
কাছে ফিরে যেতে পারবে না। এ জন্য আপনাকে
আপনার বাড়ীতে বা বাস্থানের এমন একটি স্থান
নির্বাচন করতে হবে যেখানে দিনের বেলাতেও
অন্ধকারচ্ছন্য থাকে, সুর্যের আলো পৌছায় না।
এবার
তাকে আহ্বানের নিয়মটি যেনে নিবেন, নিয়ে আপনি
তাকে আপনার মনের খায়েস জানাতে পারেন, এতে
সে খুশি হয়ে সেদিন হতেই বা পরবর্তী দিন হতেই
আপনার মনের আকাঙ্খা পূর্ণ করতে তৎপর হবে। মনে
রাখবেন লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। তাকে আপনার
নিজ
স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন সত্য কিন্তু তাকে
কখনো নিজের চাকর বা দাসী ভাববেন না।
যে কোন বই ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
إرسال تعليق