তেলেসমাতি তাজ বাঁ আশ্চর্য জিনের টুপি
তেলেসমাতি টুপি লাভ করিবার নিয়ম হইল কোন
হিন্দু মরিলে যখন তাহার আত্নীয় স্বজনরা উহাকে শ্বশানে নিবার আগে গৃহ হইতে দূরে কোন
স্থানে গোসল করাইতে নিবে তখন আমেল কিছুটা দুরুত্ব রাখিয়া উহাদের পিছু পিছু যাইবে ।
উহারা মৃতকে গোসল করাইতে একটি মাটির কলসী ভরিয়া পানি নিয়া যায় গোসল করনো হয়ে গেলে
উহারা ঐ পানির কলসিটি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া রাখিয়া মৃতকে নিয়া শ্বশানের দিকে চলিয়া যায়।
ঐ সময় আমেল তাড়াতাড়ি গিয়া দেখিবে যে ঐ কলসীটির গলা ভাঙ্গিয়াছে কিনা যদি ভাঙ্গিয়া
গিয়া থাকে তাহলে কোন লাভ হবে না । আর যদি উহা না ভাঙ্গিয়া থাকে তবে ঐ ভাঙ্গা কলসটির
গলাটি লইয়া বাড়িতে চলিয়া আসিবে ।
আসিবার কালে পথে কারো সাথে কোন কথা বলিবে না
।বাড়িতে আসিইয়া ঐ কলসটির গলাটি একখানি নতুন কাপড়ে পেচাইয়া রাখিবে । তারপর জঙ্গল
হইতে একটি পেচা ধরিয়া আনিবে । তারপর সর্বনিম্ন একসের পরিমান ছলা বুট ভাজিয়া লইয়া
তারপর ওই পেচাটি এবং উক্ত ভাঙ্গা কলসটির গলাটি সঙ্গে লইয়া গধুলি লয়ে (সন্ধ্যার
সময়) এমন চারন ভুমিতে যাইবে । যেখানে পশুরা তখন ঘাস খাইতেছে ও বিচারণ করিতেছে ।
সেখানে যাইয়া এমন অবস্থায় ঘোরাফিরা করিতে হইবে যেন বিচরণরত কতগুলি গাভি তাহাকে
দেখিতে পায় । আর ঐ চারন ভুমিটি এমন হইতে হইবে যাহার প্রান্ত সীমায় একটি বা একাধিক
কুপ অবস্থিত আছে।
যখন ঐ গাভী গুলি মাঠ হইতে বাড়ির পথ ধরিবে তখন
নিম্নের মন্ত্রটি পড়িতে পড়িতে আমেল ঐ কলসীর গলা ডান চোখের উপর ধারন করিয়া উহার ফাক
দিয়া মাঠের কাছের কুপের দিকে কিছক্ষন তাকাইয়া থাকিবে । একধারে এমনি ভাবে চল্লিশ
দিন শনিবার সন্ধ্যা কাটাইবার পর ঐ কুপের মধ্যে হতে একটি বলদ গরু বাহির হইয়া আসিবে
। উহার দুই শিংয়ের মধ্যে একটি ভুতাকৃতি জন্তুর মত দেখা যাইবে । অবশ্য উহার আকৃতি
ছোট হইবে । এই ভুতাকৃতি জন্তুটিকে ঐ আমেল ব্যাতিত অন্য কেউ দেখিতে পাইবে না । যখন ঐ জন্তুধারি বলদটি আমেলের নিকটে আসিবে তখন
সে তাড়াতাড়ি নিম্নের মন্ত্রটি পড়িতে পড়িতে গরুটির শৃঙ্গের উপর এক হাত রাখিয়া অন্য
হাত দিয়া ভুতের মাথা হইতে তাহার টুপিটি উঠাইয়া আনিবে। এ সময় ঐ ভুতাকৃতি জন্তুটি
তাহার টুপি ছিনাইয়া নিতে ছুটিয়া আসিবে তখন আমেল তাহার ভাজা বুট গুলি মাটিতে
ছিটাইয়া দিলে সে টুপির কথা ভুলিয়া যাইয়া সে ঐ বুট খেতে শুরু করিবে । যদি বুট দেওয়া
স্বত্বেও ভুত তাহার টুপি লইবার জন্য ধাইয়া আসিতে থাকে তখন আমেল তাহার পেঁচাটি
সামনে ধরিয়া উহার দিকে অগ্রসর হইতে থাকিলে সে ভীষন ভয় পাইয়া পিছনের দিকে ছুটিতে
থাকিবে । তারপর আর কোন দিন ঐ ভুত আমেলের নিকট আসিতে পারিবে না ।
মন্ত্রঃ তড়িতং অলোকং
বষ পাতাল
গ্রহন্ততি মম ভোগ
রাখাল
টুপির
গুন
এই তেলেসমাতি টুপি কেহ কেহ ছুলাইমানি তুপিও
বলিয়া থাকে। এ টুপির অমীম কেরামত ও অপূর্ব শক্তি । এই টুপিটি আমেল যখন মাথায়
পরিধান করিবে তাহাকে দেখিতে পাইবে না । হয়ত আমেল এক মাহফিলে বসিয়া আছে লোকজনের
সহিত কথাবার্তা বলিতেছে , হঠাৎ টুপিটি মাথায় পরিধান করা মাত্রই সে মাহফিল হইতে
অদৃশ্য হইয়া যাইবে । আবার টুপি মাথা হইতে খুলিয়া ফেলিলে আবার আগের মত সবাই দেখিতে
পাইবে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন