১। চোরের উপদ্রব হইতে বাচিবার তদবির
মাটি নির্মিত বর্ত্নের চারটি চাড়া লইয়া উহাতে নিম্নোক্ত দোয়া লিখিয়া ঘরের বা বাড়ির কোনে এমন স্থানে পুতিয়া রাখিবে যেখানে কোন পানি না পৌছে । আল্লাহর ফজলে চোরের উপদ্রব হইতে নিস্তার পাইবে ।
২। মাল সহ চোর হাজির করিবার তদবিরঃ
নিম্নোক্ত আমল করিলে ইনশাআল্লাহ অপহৃত মাল লইয়া চোর হাজির হইবে । এই আমলের কুরআন শরিফের বেয়াদবি হয় বলিয়া বিশেষ বিপদ ছাড়া এই আমল করিবে না ।
আমল নিম্নরূপঃ
এই রূপ এক জিলদ কুরআন শরীফ সংগ্রহ করিবে যাহাতে এই
কালেমটি একই ছত্রের ভিতর লিখিত আছে । অতঃপর এক লোবান ধুমায়িত পবিত্র স্থানে বসিয়া সুরায়ে ইয়াছিন একবার পাঠ করিয়া একখানা ছোট চাকুর উপর দম করিবে ও ঐ চাকুখানা তিনবার গরম করিবে । পরে ঐ চাকুর ধারাল কিনারা উক্ত আয়াতের তিনটি মীমের উপর ধরিয়া ঐ অবস্থায় কুরআন শরীফ বন্ধ করিয়া ভালভাবে বাঁধিয়া ঝুলাইয়া রাখিবে । বাধিবার সময় মুখে বলিবে । আমি অমুক মালের চোরের আকল হুশ ও তদবীরকে অত্র সুরার ময়াক্কেল দ্বারা বাধিতেছি যেন সে এখানে মাল লইয়া উপস্থিত হয়।।
৩। হারানো মাল ও পালাতক মানুষ ফিরাইয়া আনার তদবিরঃ
কোন মাল হারাইয়া গেলে বা কোন লোক পালাইয়া গেলে উহা উদ্ধার করার জন্য তালাশ করার অধিক পরিমানে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করিলে আল্লাহর ফজলে শীঘ্রই ঐ মাল বা লোক উদ্ধার হইবে ।
দোয়া এইঃ
ইয়া জামিউন্নাসি লিইয়াওমিল লা রাইবা ফীহি ইন্নাল্লাহা লা ইউখলিফুল মিয়াদ । ইজমা বাইনি ওয়া বাইনা কাযা ।
প্রকাশ থাকে যে, রাইবা শব্দের স্থলে মালের বা হারান ব্যাক্তির নাম বলিবে ।
৪। চোর ধরিবার উপায়ঃ
নিম্নোক্ত আয়াত সাতবার পাঠ করিয়া ইক্ষুর উপর ফু দিবে এবং যাহাদের উপর সন্দেহ হইবে তাহাদিগকে খাইতে দিবে । ইনশাআল্লাহ যে চোর হইবে তাহার পেটে বেদনা আরম্ভ হইবে ।
আয়াত এইঃ
অথবা
নিম্নলিখিত আয়াত সমূহ কতকগুলি (গমের) রুটির উপর লিখিয়া যাহাদের উপর চুরির সন্দেহ হয় তাহাদিগকে একখানা খাইতে দিবে । যে চোর হইবে তাহার গলায় রুটি আবদ্ধ হইয়া থাকিবে । যতক্ষন চুরি স্বীকার না করিবে ততক্ষন ঐ রুটি নামিবে না ।
৫। চোর ডাকাতের উপদ্রব হইতে রক্ষার উপায়ঃ
নিম্নলিখিত দোয়াটি প্রত্যহ রাত্রে ২২ বার পাঠ করিয়া শয়ন করিবে । আল্লাহর ফজলে চোর ডাকাতের উপদ্রব হইতে রক্ষা পাইবে ।
৬। চুরি যাওয়া মাল পাওয়ার তদবিরঃ
কাহারো কোন মাল অপহৃত হইলে বা চোর চুরি করিয়া নিলে নিম্নোক্ত তদবির করিলে চোরকে ধরা না গেলেও চুরি কৃত মাল আল্লাহর রহমতে অব্যশই ফেরত পাওয়া যাইবে ।
তদিরের নিয়মঃ
কাঠপোড়া কয়লা পিশিয়া কালি বানাইয়া সেই কালি দ্বারা তদবির টি লিখিতে হইবে । একটি কাগজের চার কোনায় জিব্রাইল, মিকাইল,ইস্রাফিল ও আজরাইল (আঃ) এই চার ফেরেশতার নাম লিখিয়া তার মাঝখানে প্রথমে সাতবার বিসমিল্লাহ্ শরীফ ও একবার সূরা ফাতিহা এবং একবার করিয়া চার কুল লিখিবে ।পরে ঐ কাগজ খানি একটি উন্মুক্ত স্থানে রৌদ্রা লোকে লটকাইয়া রাখিবে । ইহার কিছুক্ষন পযন্ত সে চুরিকৃত মাল ফেরত দিতে না পারিবে ততক্ষন তাহার মনের ঐ দারুন অস্থিরতা কিছুতেই কমিবে না । সুতারাং সে গোপনে লোক চক্ষুর অগোচরে চুরিকৃত মাল এমন জায়গায় রাখিয়া যাইবে যাহাতে উহা মালিকের হাতে পৌছিতে পারে ।
৭। চোর ধরিবার তাবিজ ও তদবিরঃ
নিম্নোক্ত তাবিজ দ্বারা বাটি চালান দিয়া চোর ধরিতে পারা যায় । ইহা বহু ক্ষেত্রেই পরিক্ষা করা হইয়াছে ।
একটি তামা বা কাসার বাটী মাজিয়া ঘষিয়া উওত্তম রুপে ধুইয়া উহার মধ্যে নিম্নক্ত তাবিজটি লিখিয়া উহার নীচে নিম্মনের দোয়াটি লিখিবে । লিখিক পাক-পবিত্র অবস্থায় লিখিবে ।
তাবিজ ও দোয়া লিখার পরে একজন খোদা ভীরু লোক বিসমিল্লাহ্ বলিয়া হাত রাখিবে । সংগে সংগে বাটিতা চলিতে আরম্ভ করিবে । এবং উহা গিয়া প্রকৃত চোরের পাত্রে উঠিবে।
অথবা যাহাদিগকে চুরির সন্দেহ হয় এমন কতক গুলি নাম গাছের পাতায় লিখিয়া ছড়াইয়া রাখিবে এবং উপরোক্ত নিয়মে বাটি চালান দিয়াও চোর ধরা যাইতে পারে । এমত ক্ষেত্র বাটি গিয়া চোরের নাম লিখিত পাতার উপর উঠিবে ।