ভালোবাসার মানুষকে বশীকরণ

মহব্বত বৃদ্ধির তদবীর

পরস্পর দুই লোকের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হইলে কিংবা উভয়ে বিছিন্ন হইয়া গেলে পুনঃ দোস্তী ও মহব্বত পয়দা করিতে আশা করিলে রবিবার রাত্রিতে দুই রাকয়াত নফল নামাজ আদায় করিবে । উহার প্রত্যেক রাকাতে ফাতিহার পরে সূরায় “অদ্দুহা” দশবার পাঠ করিয়া নিম্নের দোয়া পাঠ করিবে । ইনশা আল্লাহ মহব্বত বৃদ্ধি হইবে । দোয়া এইঃ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আহিব্বানী ইলা ক্বা‌ল্‌বি ফোলানেবনে ফুলানিন্‌

ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টির তদবীর

ইশ্‌রাকুদ দারাজাত কিতাবে উল্লেখ আছে- সাত ছালামে মোট চৌদ্দ রক্যাত নফল নামাজ আদায় করিবে । উহার প্রত্যেক রাকায়াতে ফাতিহার পরে অন্য সূরা মিলাইয়া এই দোয়া বলিবে – হে আল্লাহ তায়ালা আমি অমুকের ছেলে অমুকের দেহের সাতটি অঙ্গ (যথা- অন্তর, জবান, চক্ষু, কর্ন, জ্ঞান, বুদ্ধি এবং জ্ঞানের) ভালবাসা জন্য গ্রহণ করিলাম ।
উচ্চারণঃ- বিহাকিক লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ।
দুই রাকয়াত নামায জ্ঞানের নিয়তে, দুই রাকায়াত জবানের নিয়াতে, দুই রাকয়াত নামায জানের নিয়াতে, দুই রাকয়াত কর্ণের নিয়াতে আদায় করিবে । নামাজ শেষ করিয়া বলিবে (ইয়া আলিমু) আমি আমাকে উৎসর্গ করিয়াছি, দিল ও জান, অমুকের ছেলে অমুকের স্বপ্ন ভঙ্গের বিনিময়ে । অতএব আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করিয়া দাও । যেহেতু আপনি একচ্ছত্র শক্তির অধিকারী । আর নামাযের নিয়াতে বলিতে হইবে – অমুকের সহিত বন্ধুত্ব সৃষ্টি হওয়ার জন্য কাবামূখী হইয়া দুই রাকয়াত নামায আদায় করিতেছি ।

ভালোবাসা সৃষ্ঠির অন্য তদবীর

ভালোবাসা সৃষ্ঠির উদ্দেশ্যে দুই রাকয়াত নামায আদায় করিবে । উহার প্রথম রাকয়াতে সূরা ফাতিহা একবার পাঠ করিয়া একশত বার সূরায়ে কাফেরুন পাঠ করিবে এবং দ্বিতীয় রাক্যাতে সূরা ফাতিহা একশতবার পাঠ করিয়া একবার সূরা কাফিরূন পাঠ করিবে । আর উপরের তদবীরের মত নিয়াত করিলে, ভালোবাসা সৃষ্টি হইবে ।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দূর করার তদবীর

সবামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ অথবা মনোমালিন্য হইলে নিম্নোক্ত সূরা জুময়ার নকশা শনিবার দিনে লিখিয়া স্বামীর শরীর ব্যবহার করিলে উভয়ের মাঝে পূণঃ ভালোবাসা ও মহব্বত সৃষ্টি হইবে ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দূর করার তদবীর

স্বামী বশ করার তদবীর

যদি স্বামীর মুখ বাড়িয়া যায় অর্থাৎ স্ত্রীকে বড় বড় কথা শুনায়, তবে নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া কবজ করিয়া খোলা ময়দানে নিক্ষেপ করিবে অথবা পুতিয়া রাখিবে । নকশা এইঃ

ভালোবাসা সৃষ্টির তদবীর

কাহারও সহিত মহব্বত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত নকশাটি লিখিয়া কবজ বানাইয়া প্রেমিকের হাতে বাধিয়া প্রেমিকার সামনে যাইবে । ইনশাআল্লাহ সফলতা লাভ করিবে ।