তন্ত্র মন্ত্র সম্পকে কিছু কথা
আইনস্টাইন এক সময়ে বলেছিলেন, “সায়েন্স উইদাউট
রিলিজিয়ান ইস্ লেম, রিলিজিয়ান উইদাউট সায়েন্স ইস ব্লাইন্ড ।
আইস্টাইন কিন্তু একথা বিশেষ কোন সময় বিশেষ কোন
কালের কথা চিন্তা করে বলেন নি। বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের যে গভীর সংযােগ তাকে আমরা
কোন সময়, কোন যুগের নির্দিষ্ট গন্ডীতে বাঁধতে পারি না। আদি-অনন্ত কাল থেকেই ধর্ম
বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন প্রতিবেশে মানুষের মনে একটা বিশেষ জায়গা করেই রেখেছে। ধর্ম
এবং ঈশ্বর একে অন্যের পরিপূরক একটি ছাড়া অন্যটি ভাবাই যায় না। এই ঈশ্বর বা দৈবকে
কেন্দ্র করেই প্রাচীন কাল থেকে কিছু বিষয় আমাদের সমাজ-জীবনে টিকে রয়েছে। তন্ত্র
মন্ত্র, যোগ-সাধনা এর একটা দিক। আমরা প্রাচীন ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখব, রোগ-বালাই, অভিষ্ট সিদ্ধি, শত্রু জয় এবং সামাজিক
নানা সমস্যায় মানুষ নানাভাবে তন্ত্র-মন্ত্র বা তাদের সাধনার্জিত অলৌকিক ক্ষমতাকে
ব্যবহার করে অসাধ্য সাধন করেছে।
এক সময়ে সাধক বা যােগীদের যা ছিল নিত্যকর্ম, সেই যোগাসন আজ আমাদের মধ্যে
বিশেষ একটা স্থানই অধিকার করেনি, বিশেষ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। রোগ নিবারণ, দেহকে সুগঠিত করা ইত্যাদি
নানা কারণে অনেক চিকিৎসকও এর বিধান দেন। তন্ত্র-মন্ত্র ও তার আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে
এখন বিজ্ঞানও ভাবছে। বিশেষ বিশেষ শব্দ বা শব্দগুচ্ছর ধ্বনির সঙ্গে ইথার বা তরঙ্গের
কোন যোগ আছে কিনা বা নির্দিষ্ট কোন শব্দগুচ্ছ বা চিত্রকল্পের মধ্যে অন্তলীন কোন বিশেষ
প্রভাব আছে। কিনা, যা আপাতঃ অব্যাখ্যাত।
প্রকৃতির আর এক অলৌকিক
সৃষ্টি দ্রব্যগুণ । কথায় আছে গাছ নাকি কথা বলে। তা গাছ মানুষের মত কথা না বললেও, সে প্রয়ােজনে
অনুগত আজ্ঞাবহের মত কাজ করে। কোন গাছের পাতা, কোন গাছের লতা, কোন গাছের মূল, কোন গাছের ফুল, কোন গাছের ছাল, কোন গাছের ফল, বিশেষ বিশেষ রোগে
বিশেষ প্রযজনে অলৌকিক প্রতিষেধকের কাজ করে।
মুখ্যতঃ তন্ত্র
মন্ত্র। বা দ্রব্যের ব্যবহার তুলনামুলকভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি প্রচলিত। তার
একটা মস্ত কারণ বিজ্ঞান বা শহুরে ধ্যান-ধারণা, যুক্তি বুদ্ধি গ্রামের
মানুষকে আজও সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন করতে পারে নি। আর এই গ্রামাঞ্চলকে কেন্দ্র করেই এই
ঝাড়-ফুক, টোটকা, গাছ-গাছড়ার ব্যবহার আজও আমাদের সমাজে টিকে আছে। টিকে আছে তার ক্ষমতার
জোরেই। তবে অবশ্যই এর জন্য সাধনার দরকার, উপযুক্ত জ্ঞানের দরকার, অনুশীলনের
দরকার ।
অনেক তান্ত্রিক
কবিরাজের বিদ্যা গ্রন্থে তার আজীবন সাধনা ও সংগ্রহকে সন্নিবিষ্ট করেছেন গ্রন্থের
আসন, সাধন, মোহিনী বিদ্যা, ওষুধের (গাছের) কাজ ও তার উত্তোলন বিধি, বশীকরণ, মারণ, আকর্ষণ, উচ্চাটান, ঝাড়ন, কীটপতঙ্গের
বিষ ঝাড়ন ইত্যাদি বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য এবং সমাজজীবন ও
ব্যক্তিজীবনে বিশেষ উপযোগী। অপামর মানুষ এর থেকে
বিভিন্ন পুরাতন তন্ত্র
মন্ত্র বই থেকে আমার কপি করা তত্র মন্ত্র ভালো লাগলে সাইট টি সেয়ার করতে ভুলবেন না
।
imo & whatsapp সেয়ার
করবেন প্লিজ