জিন ভুত ঝাড়ার পরিক্ষীত মন্ত্র
কাহারও উপর প্রেতাত্মার আবেশ হইলে তাহাকে
নানা প্রকার যন্ত্রনা ভোগ করিতে হয়,এমন কি বহুবিধ দুশ্চিকিৎস ব্যাধি ও পাগলের
ন্যায় লক্ষণ প্রকাশ পাইয়া থাকে ।
রোগী এরূপ অশ্বআভাবিক প্রলাপ বকিতে থাকে
যাহা শুনিলে ব্যাক্তি মাত্রই অবাক হইয়া পড়ে । প্রেতাত্মার আবেগ হইয়াছে কি অন্য
প্রকার ব্যাধি হইয়াছে তাহা স্থির সিন্ধান্ত করিতে হইলে নিম্ন লিখিত এবং আমার এই
সাইটে যে ভুত জিন হাজির করার মন্ত্র লেখা আছে সেগুলো একমাত্র পরীক্ষা করার উপায়।।
ভুত পরীক্ষাঃ__ শনি বার আমাবস্যা গভীর
রজনীতে (কিম্বা পুষ্যা নক্ষত্রযুক্ত রাত্রিতে) কোন ব্যাক্তি শুদ্ধাচারি হইয়া নিম্ন
লিখিত রূপে স্বীয় গা বন্ধ করার পর । মানকচু গাছের শিকড় তুলিয়া লয়া আসবেন পরে
ভুতগ্রস্ত রোগীর কাপড়ের খুটে বাধিয়া দিবেন । ভুত গ্রস্ত রুগি হলে চিৎকার ও ঔষুধ
খুলিয়া ফেলিবার জন্য বল প্রয়োগ করিবে । অন্য কোন ব্যাধিগ্রস্ত হইয়া থাকে তবে কিছুই
করিবে না ।
বিঃদ্রঃ মানকচু গাছের শিখর হয়া চাই ।যে গাছ
ঢেকির আওয়াজ শুন্তে পাই নি সেই গাছের শিখর লাগবে । না হলে কাজ হবে না । রাতে যখন
ঔষুধ আনিতে বাহির হইবেন তখন নিম্ন লিখিত মন্ত্র এক এক করিয়া পাঠ করিয়া শরির বন্ধ
করিবে ।
১ম__ গা বন্ধ মন্ত্রঃ
ঘর থেকে বেরিয়ে পথে দিলাম পা।
তুমি আমার রসমাতা তুমি আমার মা।
কে মড়নড়ায় কে সরসরাই কে ভাঙ্গে খড়ি,
এসো নেবে অমুকের হাতে দিয়া দড়ি।।
কে যায় হাট, অমুক যায় হাট,
অমুকের কাটা খোঁচা, ডাইন, যোগিনী,
দক্ষি,দানা,বাউ বাতাসে পড়িলে পা,
রক্ষা করিবেন জয় দূগা মনসা মা।
হরসিন্ধান্ত গরুর পা কামরূপ কামিখ্যা মা।
হাড়ির ঝি চণ্ডীর আজ্ঞে,
আমার এই গা বন্ধন অমুকে শীঘ্রি লাগে ।।
নিয়মঃ গৃহ হইতে আড়াই পদ বাহির হইয়া দন্ড্যমান হইয়া ১ম গা বন্ধ মন্ত্রটি
তিনবার পাঠ করিয়া গায়ে তিন বার ফু দিতে হবে । পরে রাস্তায় যাইতে ২ মন্ত্র পাঠ করে
গায়ে ফু দিতে হবে ।।
কোন স্থানে গমন করিতে হইলে প্রথম গা বন্ধন করিতে হয় । অন্য কারন হলে ২য়
মন্ত্র করিলেই চলে । কিন্তু ভুত ঝাড়িতে গেলে দুইটি মন্ত্র পাঠ করিতে হবে ।
২য় গা বন্ধ মন্ত্রঃ
কালি ঘাটে কালিবন্ধ মন করি স্থির ।
পেড়োতে বন্ধিলাম আমি সাত সমুদ্র পীর।।
দশঘরার বদ্ধিলাম কামরূপী
জিব্বার পর বান্ধিলাম লক্ষি সরসতি
সর্ব্ব দিকে বন্ধ মাতা গঙ্গা ভাগিরতি
লাগ বন্ধন আমার সঙ্গে আজ দুপুর
কাল রাত্রি সাতদিন সাত রাত থাক
এই বন্ধন আমার অঙ্গে শীঘ্রি লাগ ।
ইহাও তিনবার পাঠ করিয়া গায়ে তিনটি ফু দিবেন ।
যিনি ভূত ঝারিবেন তাহাকে প্রথমে ২য় গা বন্ধন
করিতে হবে পরে নিম্নলিখিত রূপে মৃগ চম্মের আসন বন্ধন করিয়া তারপর কাজ শুরু করিবেন
।
আয়াতুল কুরসি সুরা ৩বার পাঠ করে শরির বন্ধ
করলেও কেউ কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না ।
আসন বন্ধন মন্ত্রঃ
মৃগ চম্মের আসন তোরে করিব প্রণাম।
আমার এই কায্যে তুই হরে সাবধান ।।
তোরি কৃপায় আমিই করিব আসন বন্ধন।
এ সকল কর্মে যেন তুই না হস লঙ্ঘন
কামিখ্যার বরে তোরে করিলাম বন্ধন
লাগ বন্দন আমার আসনে
আজ দুপুর কালরাত্রি সাতদিন সাত রাত থাক
এই বন্ধন আমার আসনে শিঘ্রি লাগ
কার আঞ্জে…?
কাউরের কামিখ্যা মায়ের আঞ্জে,
হারির ঝি চন্ডির আঞ্জে…?
শিঘ্রি লাগ শিঘ্রি লাগ।
নিয়মঃ উপরের মন্ত্রটা তিনবার পাঠ করিয়া
আসনের চারিদিকে গোল দাগ দিয়ে আসন বন্ধন করিবে ।
শূন্য বন্ধন মন্ত্রঃ
শূন্যেতে বন্ধিলাম আমি দেব তেত্রিশ কোটি।
লাগ লাগ ভূত সবার দন্তেরি কপাটি।।
কামিখ্যা দেবির বরে করিলাম শূন্যেরি বন্ধন।
কোন শুতে করিতে না পারিবে ক্ষতি আমার কখন
কার আঞ্জে…?
কাউর কামিখ্যা মায়ের আঞ্জে।
হারির ঝি চন্ডির দোহাই।
হ্রীং হ্রীং ফট ফট স্বাহা ।
নিয়মঃ মন্ত্রটি তিনবার পাঠ করিয়া শূন্যে দিকে শাহাদত আঙুল দিযে গোল করে দাগ
দেওয়ার মতো করে ঘুরিয়ে দাগ দিবে ।