আপনি_জিনের_রোগী_নাকি_মানুষিক_রোগী? পার্থক্য করার সহজ উপায়।
১// জিনের রোগী মাঝে মাঝে বেহুশ হয়ে যায় কিন্তু এই সমস্যাটা মানসিক রোগীর হয় না।
২// জিনের রোগীর মাঝে মাঝে মুখ থেকে ফেনা বের হয়, দাতে খিল লেগে যায়। কিন্তু এই সমস্যাগুলো মানসিক রোগীর হয় না ।
৩// জ্বীনে ধরা রোগীর মাঝে মাঝে অশ্লীল ও অবাস্তব চিন্তা ভাবনা আসে, আবার অনেক সময় মনে হয় অন্য কোন অদৃশ্য শক্তি তার ব্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করছে।কিন্তু মানুষিক রুগীর এই সমস্যাগুল হয় না।
৪// জিনের রোগীর মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা, আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু মানসিক রোগীর এরকম ইচ্ছা হয় না।
৫// জিনের রোগী রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না, আবার কেউ কেউ ঘুমাতে পারলেও অনেক আজেবাজে স্বপ্ন দেখে, যেমন ধরুন – সাপ, বিচ্ছু, কুকুর,ইদুর,ভয়ংকার কোন আকৃতি, কিংবা কোন প্রাণী তাকে তাড়া করছে, শূন্যে উড়তে দেখা, অনেক উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, ইত্যাদি। কিন্তু মানসিক রোগীর এই সমস্যাগুলো হয় না।
৬// জিনের রোগীর কোন কারন ছাড়াই অধিকাংশ সময় ভয় পায় কিংবা অনেক সময় চারদিক থেকে অদ্ভুত বিভিন্ন আওয়াজ শুনতে পায়।
৭// জিনের রোগী মাঝে মাঝে একা একা কথা বলে এমনকি অনেক সময় ভিন্ন ভাষায়ও কথা বলে, যা আশেপাশের মানুষ বুঝতে পারেনা কিন্তু মানসিক রোগীর এরকম করে না।
৮// জিনের রোগী সালাত, কোরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর যিকির ইত্যাদি অপছন্দ করে। আর এগুলো করলে তার অস্থিরতা বেড়ে যায়। কিংবা নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হয়।
৯// জিনের রোগী মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করে কিংবা আশ্চর্যজনক কাজ করে কিন্তু মানসিক রোগী সব সময় স্বাভাবিক থাকে।
১০// জিনে ধরা রোগীর কাছে ঘর-সংসার, স্ত্রী-সন্তানদের ভাল লাগে না। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রেও এরকম হয়। ঘর-সংসার,স্বামী, সন্তানদের ভাল লাগে না, পিরিয়ডে সমস্যা হওয়া, যেমন ঃ দুই – তিন মাস পরে একবার হওয়া অথবা পাচঁ-সাত দিন পর পর হওয়া, কোন কারন ছারা লজ্জা স্থান ব্যাথা হওয়া।
কিন্তু মানুষিক রুগীর এই সমস্যাগুল হয় না।
১১//জ্বীনের রোগীরা যখন মন চায় তখনই এক দিকে হেঁটে চলে যায়, কারো কাছে বলার প্রয়োজন মনে করে না। কিংবা অল্প সময়ে অনেক দূরে চলে যায়, কিন্তু মানসিক রোগী এরকম করে না।
উপরে উল্লেখিত সিমটম গুলো যদি কারো সাথে দুই একটাও মিলে যায়, তাহলে তাকে রুকিয়া করানো উচিত।
কারণ এগুলো সাধারণত জ্বিনের রোগীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
আর আপনি খুব সহজেই উপরে উল্লেখিত সিমটম গুলোর মাধ্যমে মানসিক রোগী এবং জিনের রোগীর মাঝে পার্থক্য করতে পারবেন।