দাড়ি চুল কাচা রাখার মন্ত্রঃ
অন্ত রসা দন্ত রসা আদি
রসা মূল
চান কাচা সূর্য কাচা
কাচা দাড়ি চুল
এক কথায় হটে
শতেক কথায় জিতে
আমার পানি পড়া খাইয়া
যে হাটে ঈশ্বর
মহাদেবের
দোহাই লাগে
সিদ্দশ্রীদাম গুরুর
পাও
সিদ্দীকি কর কাইলকা চন্ডির
মাও ।
মন্ত্রটি শিক্ষা করার
নিয়মঃ শনিবার দিন রাত ১১/১২ টার সময় তে পথে বসে মন্ত্রটি শিক্ষা করিতে হইবে ।
প্রত্যেক দিন সকালে মন্ত্রটি তিন বার পাঠ করে এক চৌল পানির মধ্যে ফু দিয়ে সেই পানি
পান করিলে চুল দাড়ি কাচা থাকিবে । যাহার মাথায় একটি চুলও পাকিয়াছে তাহার কাজে
আসিবে না ।
দাড়ি চুল কাঁচা রাখার পানি
পড়া মন্ত্র দ্বিতীয়ঃ
জল কাঁচা স্থল কাঁচা
কাঁচা আদিমূল
চন্দ্র কাঁচা সূর্য
কাঁচা
কাঁচা দাড়ি চুল
কথার ভরে শিরচ্ছেদ
হারে
আমার এই পানি পড়া হেলে
দোহাই পরওয়ারদিগার ।
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ মঙ্গল বার দিন এই মন্ত্রটি মুখস্ত করিতে হইবে । প্রত্যেক দিন সকালে এক চৌল
পানি হাতে লইয়া উপরোক্ত মন্ত্রটি তিনবার পাঠ করে পানির মধ্যে ফু দিয়া খাইলে
আল্লাহর রহমতে চুল দাড়ি কাঁচা থাকিবে । যাহার মাথার চুল পাকিয়াছে তাহার কোন প্রকার
কাজ হইবে না ।
স্বাস্থ্য ভাল রাখা ও পানি
পড়া মন্ত্রঃ
ওঠ ওঠ গুরুজি রক্ত
বরণ,
তোমারে ভজিলে আমার না
হয় মরন।
তোমারে ভজিলে আমার
বিষ বেদনা ক্ষয় হয় ।
আল্লাহ মোহাম্মদের
ছত্র চলে
দিনে দিনে হস্তি মাংস
বাড়িয়া চলে ।
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ মঙ্গল বার দিন দুপুর বারটার সময় একা একা ঘরে বসে মন্ত্রটি পাঠ করিতে হইবে ।
মাত্র ১৪ দিন মন্ত্রটি কাজে খাটাইতে হইবে । রাত্রে একটি ঘরের মধ্যে সামান্য
জায়নামাজের সমান একটু জায়গা সাইল মাটি দিয়া লেপিয়া পবিত্র করিতে হইবে । তারপর
পবিত্র জায়গার মধ্যে একটি জায় নামাজ বিছাইয়া সামনে একটি মোমবাতি ও একটি আগর বাতি
জ্বালাইয়া মন্ত্রটি মনে মনে ৪১ বার পাঠ করিতে হইবে । ১৪ দিনেই আল্লাহর রহমতে
স্বাস্থ্য ভাল হইবে । উপরোক্ত ১৪ দিন প্রত্যেক দিন সকালে একচৌল পানির মধ্যে
উপরোক্ত মন্ত্রটি তিন দফা পাঠ করে ফু দিয়া খাইতে হইবে ।
সমস্ত মাথার বেদনা ভাল হইবার
মন্ত্রঃ
(ক)
নয়া কলসী বান্ধায়
কোরআন ছেড়ে বসে আলি
বাহাক্কুম লাইলাহা ইল্লাল্লাহু
মোহাম্মাদুর
রাসূলল্লাহ । ছু ছাড়।
(তিন বার পাঠ করে
মাথায় ফু দিতে হবে)
ঐ দোছড়া মন্ত্রঃ
(খ)
শূন্যে আসন শূন্যে
বাসন
শূন্যে কর রাউ ।
ফলনার অঙ্গ থাকিয়া
করিতেছ ঘাউ
দোহাই আল্লাহর
ত্রিশ কোটি দেবতার
মাথা খাও । ছু ছাড় ।
(তিন বার পাঠ করে
মাথায় ফু দিতে হবে)
নিয়মঃ মন্ত্রটি ভাল করে মুখস্ত করিতে হইবে ।
সমস্ত মাথার বেদনার রোগীকে সামনে রাখিয়া রোগীর কপালে হাত বুলাইতে বুলাইতে উপরোক্ত
যে কোন একটি মন্ত্র পাঠ করিয়া ফু দিলে আল্লাহর রহমতে সমস্ত মাথার বেদনা ভাল হয় ।
ক নং মন্ত্র দ্বারা
অতিরিক্ত ডর শব্দের পানি পড়া চলে ।
খ নং মন্ত্র দ্বারা
অতিরিক্ত ডর বা আছরের কাচ ভাঙ্গানো চলে ।
অদ্ধ মাথা বেদনা ভাল হইবার
মন্ত্রঃ
চন্দ্র আমার মাতা
সূর্য আমার পিতা
প্রতিজ্ঞা আমার মা
আজ্ঞা করে দাও
যে দিকে ইচ্ছে সে দিকে
যাও ।
নিয়মঃ আমার স্থানে যার
যার নাম বসাইতে হইবে । মন্ত্রটি ভাল মত শিক্ষা করিতে হইবে ।
কোন মানুষের অদ্ধ
মাথার বেদনা হয় যাহা কোন ঔষুধ পত্রে কাজ হয় না । সেই রোগীকে সূর্য লাল হইয়া উঠার
সময় সূর্যের দিকে মুখ করিয়া দুই হাত জোড় করিয়া দাড়া করাইবেন । তাহার পর কবিরাজ
রোগীর পিছনে দাড়াইয়া মন্ত্রটি তিন বার পাঠ
করিয়া কাজ শেষ করিবে । এই নিয়মে তিন দিন কাজ করিলে আল্লাহর রহমতে অদ্ধ মাথার বেদনা
ভাল হইবে ।
প্রেম-প্রিতি সম্বন্ধীয়
মেয়ে বশ করার আচুলি বান্ধা
মন্ত্রঃ
রাম একাকি কুল্লেফালে
ওকাকী কাওমে তোর লাগনে
মোরাকা সব ফেলিহু ।
ওতনে তোর না লাগিলে
হামি ওতনে মরতেহে
মোহাম্মদী কা থাকিলে
তোর হ আচলে
আমি নে বন্দি থো
ছো ছো ছো।
নিয়মঃ মন্ত্রটি শনিবার
দিন মুখস্ত করিতে হইবে । যদি কাহারো স্ত্রী স্বামীর কথা না মানে তবে । উপরোক্ত
মন্ত্রটি শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন মনে মনে তিন বার পাঠ করিয়া স্ত্রীর পরণের
অবস্থায় শাড়ীর আচলে গিরু দিলে সে স্বামীর জন্য আত্নহারা হইয়া যাইবে । যদি তাহার
স্ত্রী সতী সাধ্বী হয়, তবে আচলে গিরু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে টলিয়া পড়িবে । কোন
ভয়ের কারণ নাই । তৎক্ষণাৎ স্ত্রীর চুলের মুঠির মধ্যে ধরিয়া উঠাইয়া কোমরের মধ্যে
আস্তে একটি লাঠি মারিলেই ভাল হইয়া যাইবে ।
মেয়ে মরদ ভুলানো নজর বন্ধি
মন্ত্রঃ
রাম ধনু লক্ষণ বালু
চুমুক
মোর কাজে
বানে মাথা খাইলাম
পাঁচ আত্মা খাইলাম
পাঁচ পরাণ খাইলাম
তোর লাগিয়া পাগল হইলাম
শুধু ডানে আর বামে
করিলাম নজর বন্ধি
আমারে ছাড়িয়া যদি
অন্য দিকে চাস ফিরে
দোহাই আল্লাহর
মোহাম্মদের মাথা খাস ।
নিয়মঃ মন্ত্রটি শনিবার
অথবা মঙ্গল বার দিন মুখস্ত করিতে হইবে । যাহাতে নজরবন্দি করিতে হয়, তাহার দিকে
লক্ষ্য করে চোখে চোখে মিলাইয়া মন্ত্রটি মনে মনে তিনবার পাঠ করিতে হইবে । পর পর তিন
দিন কাজ করিলেই যাহাকে নজর বন্ধি করা হইল সে তদবীর কারীর বশ্যতা স্বীকার করিবে ।
অন্যায় ভাবে মন্ত্র খাটাইলে কোন কাজ হইবে না । আল্লাহর দোহাই নজর বন্ধি করার পর
যদি বশ মানে তবে তাহাকে বিবাহ করিবে ।
মেয়ে ভুলানো নজর বন্ধি দ্বিতৃয় মন্ত্রঃ
দুই চক্ষে চাইলাম
চার চক্ষে বন্ধনা
করিলাম
রক্তের ক্ষলাখল
বিদ্যুৎ দ্বারা
তাই দিয়া বন্ধনা
করিলাম
ফলনার নয়ন তারা
ছার ছার ছার বাপ মার
আশা ছার পাড়ার প্রতিবেশি
ছার
স্বামীর ঘর গৃহ ছার
আমারে ছাড়িইয়া যদি
অন্য কোথাও যাস
দোহাই লাগে ঈশ্বর
মহাদেবের মাথা খাস ।
মন্ত্রটি শিক্ষার করার
নিয়মঃ একা একা তিন দিন রাত্রে তে পথে বসে মন্ত্রটি শিক্ষা করিতে হইবে । মন্ত্র
শিক্ষার তিন দিন মাছ ও গরুর মাংস খাওয়া নিষেদ । রবিবার ও বৃহস্পতিবার মন্ত্র পাঠ
করা সম্পন্ন রূপে নিষেদ ।
মন্ত্র ব্যাবহার করার
নিয়মঃ যদি কাহারো স্ত্রী কথা না মানে বা স্বামী স্ত্রী মধ্যে মিল না থাকে তবে উভয়ে
এক জায়গায় বসে কিছু সময়্য আলাপ আলোচনা করিবেন ও মন্ত্রটি মনে মনে ১৫/২০ বার পাঠ
করিবেন তৎক্ষণাৎ স্ত্রী বা স্বামী যে তদবির করে । তদবিরকারির কথা মানিবে এবং সঙ্গে
সঙ্গে চলে যাবে । যদি কেহ কোন মেয়েকে বিবাহ করিতে চান তবে উপরোক্ত নিয়মে কাজ করিলে
অব্যশয় আল্লাহর রহমতে কাজ হইবে । আমার অনুরধ কাজ আসিলে তাহাকে বিবাহ করিবেন ।
হারামির কাজে মন্ত্র খাটাইলে কোন প্রকার কাজ হইবে না । ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
মেয়ে মরদ ভুলানো তেছরা নজর বন্ধি মন্ত্রঃ
চক্ষে চক্ষে করিলাম
নজর বন্ধি
এই নজর করিলাম শিশি
তুলসী বন্ধী ।
রাম লক্ষন ধনুকের বান
জিতা থাকলে খাট পালঙ্ক
মইরা গেলে মোহা শ্মশান
ঘাট
ছার ছার ছার বাপ মার
স্বামীর ঘর গৃহ ছার
আমারে ছাড়িয়া যদি
অন্য কোথাও যাস
দোহাই ঈশ্বর, ত্রিশ
কোটি
দেবতার মাথা খাস ।
নিয়মঃ উপরোক্ত ২নং
মন্ত্রের ন্যায় শিক্ষা ও কাজে খাটাইতে হইবে । খারাপ কাজ করা সম্পূর্ন নিষেদ ।
নারী বশ করার তৈল পড়া মন্ত্রঃ
তৈল কহিতে তৈ আনি
কহিতে অর্দ্ধের কাহিনী
লংকায় আছিল তৈল
দেশে আনল কে
হনুলান আনল তা দেশে
পায় তা মানুষে
বর্মার আদেশে আমি
ই তৈল পড়ায় করিলাম ভর
আমার এই তৈল পড়া
মিথ্যা যায় খইসা পড়ে
শিবের জটা মা দুর্গার
পায়।।
মন্ত্র শিক্ষা করার
মন্ত্রঃ সোমবার সারা দিন পর রাত ৮টার সময় তে পথে বসে মন্ত্রটি শিক্ষা করিতে হইবে ।
তৈল আনার নিয়মঃ শনিবার
অথবা মঙ্গল বার দিন তে পথের মধ্যে পূর্ব দিকে মুখ ফিরাইয়া বসিয়া উপরোক্ত তৈল পড়া
মন্ত্র তিনবার পাঠ কুরিয়া তৈলের মধ্যে তিনবার দম করিতে হইবে । তাহার পর সেই তৈলের
এক ফোটা তদবির কারীর কপালে এক ফোটা , নাকে ও এক ফোঁটা গলায় দেওয়ার পর বাকি তৈল মুখ
মন্ডলে মালিশ করিয়া প্রিয়ার সঙ্গে দেখা করিতে হইবে । প্রিয়াকোন কথা না বলে তৎক্ষণাৎ
পিছে পিছে চলিয়া আসিবে । আমার অনুরধ হারামি কাজে মন্ত্র খাটাইবেন না ।
মেয়ে ভুলানো পানি পড়া মন্ত্রঃ
রবি উঠে ধবধবাইয়া
মুখে ফাঁকা তুড়া
ফলানির পাঁচ আত্মা
পাঁচ পরাণ খাইলাম
শুষ জালি কুমড়া
বুকে খাইলাম চুষে
পিঠে খাইলাম চুষে
পাঁচ আত্মা পাঁচ পরাণ
খাইলাম কষে
ফলনারে না দেখলে
ফলানির প্রান শুষে
শুষুক প্রান কুষুক মন
যেবত না দেখে ফলার
প্রান
কার আইজ্ঞা
হারির আইজ্ঞা
গুরুর পাও
সিদ্দীকী কর
কাইলকা চন্ডির মাও ।
নিয়মঃ শুক্রবার
সারাদিন পর রাত ৮ টার সময় তে পথে একা একা বসে মন্ত্রটি মুখস্ত করিতে হইবে । একদিনে
যদি মুখস্ত করা সম্ভব না হয় । তবে অন্য দিনে ঠিক ঐ বারে ঐ সময় মুখস্ত করিতে হইবে ।
মন্ত্রটি কাজে খাটানোর
নিয়মঃ শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন নিতুন পাতিলে করে পূর্ব দিকে মুখ করে শ্বাস বন্ধ
করে ন্দীর পাকের পানি উঠাইয়া আনিতে হইবে । যে বারে পানি আনিবে সেই বারে ঐ পানি লইয়া সূর্য উদয়ের সময় পুকুরে নাভী পানিতে
নামিয়া সূর্যের দিকে অথাৎ পূর্ব দিকে মুখ করে দাড়াইয়া মন্ত্রটি মনে মনে শ্বাস বন্ধ
করে তিন বার পাঠ করে উক্ত পাতিলের পানির মধ্যে তিনটি ফু দিতে হইবে । তাহার পর ঐ
অবস্থায় উক্ত পানি পান করিয়া স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিলে তাহার চিরদিনের জন্য বাধ্য
হইবে ।
মেয়ে বশ করুন চব্বিশ ঘন্টায়—
কুফরি শক্তিশালি
মন্ত্র দিয়েঃ
মীম হরফের অরপন । ইয়া লাম মনের উপর দিলাম আমি
চন্দ্র বান্ধি সূর্য বান্ধি বান্ধি অমুকের মন নূনে দিলাম কষ ইয়া কাফ হরফের চোটে
অমুক হয় আমার বশ । তা শিন ওয়া হার মারলাম ছুরে মা মীম হরফ দমের সাথে আমার দেওয়ানা
হয়ে যা দোহাই লাগে আলী সঙ্গে দিলাম আলিফ বা ফাতেমার নিবেস অমুক আমার হবে বশ
মোস্তফা নবীর আদেশ বাক্যের দাপটেড় বাক্য নড়ে বাক্য সা জাহান্নামের আগুনে পোড়ে
আল্লাহর বাক্যের কুরান যদি লড়ে চড়ে ।
নিয়মঃ শনিবার মঙ্গল বার
দকান খুলিবার পূর্বে এক দামে সরিষ্র তেল নিয়ে আসিবে এবং রাত্র বারটা এক মিনিটে
উলঙ্গ হয়ে তেপুতির রাস্তায় এক পায়ের উওড় দাঁড়িয়ে এই মন্ত্র এক নিশ্বাসে তিনবার পাঠ
করে উল্টা ভাবে মুখে মালিশ করে মেয়ের সামনে গেলে সে আশেকে করার পর তিন ফোটা মেয়ের
শরিরে ছিটিয়ে দিতে হবে ।
নারী বশ করার শ্বাস খাওয়া মন্ত্রঃ
উদয় ঘিরি পর্বত
পেছুয়ায় ঝাড়ে
রাম লক্ষন দুই ভাই
ঠোকনায় ঝারে
রামের হাতে ধনু
লক্ষনের হাতে বান
ডুকিতে গিলিলাম আমি
অমুকের পিসি আত্মা
পাঁচ পরান
(তিন বার খাইতে হবে)
মন্ত্র শিক্ষা ও
ব্যাভারের নিয়মঃ মন্ত্রটি খুব ভাল করে মুখস্ত করিতে হইবে । যাহার স্ত্রী বা স্বামী
অবাধ্য উভয়কে উভয় বাধ্য করিতে পারবেন উক্ত মন্ত্র দ্বারা । স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায়
থাকিলে স্বামী উপরোক্ত মন্ত্র পাঠ করে তিন বার শ্বাস খাইবে । স্ত্রী তাহার বাধ্য
হইবে । স্বামী বাধ্য করিতে হইলে স্ত্রী কাজ করিতে হইবে ।
নারী বশ করার নজর বন্ধি মন্ত্রঃ
নজরে পড়ে আল্লাহ
এই মন্ত্র কইলাম আমি
সারাদিন আড়াই পরে
ছাড় ছাড় ছাড় ফলানি
ভাই ছাড় বাপ ছাড়
পাড়ার প্রতিবেশি ছাড়
আমার হও গলার হার
আমারে ছাড়িয়া যদি অন্য
দিকে চাও ফিরিয়া
দোহাই লাগে মোহাম্মদ
নবীর মস্তক ধরে খাও ।
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ শনিবার দিন ২ টার সময় মন্ত্র শিক্ষা আরম্ভ করিতে হইবে । যদি কোন স্থান হইতে
বইয়ের পয়গাম আসে বা নিজের স্ত্রী কথা না মানে । তবে শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন
সূর্য পূর্ব দিকে বসে সিন্দুর সরিষার তৈ লইয়া তিন পথের মধ্যে পূর্বে দিকে বসে
সিন্দুর
সরিষার তৈল গুলিয়া
প্রথমতঃ বাম হাতের ছোট আঙ্গুলের মধ্যে সিন্দুরের ফোঁটা লাগাইয়া মাটির মধ্যে
সিন্দুর তিন ফোঁটা তাহার পর ঐ ফোঁটার উপর পান রাখিয়া পানের উপর সিন্দুরের তিন
ফোঁটা ও পানের উপর সুপারি বসাইয়া সুপারির উপর সিন্দুরে তিনটি ফোঁটা দিতে হইবে ।
মাটি পান ও সুপারীর মধ্যে ফোঁটা দেওয়ার সময় উক্ত মন্ত্র পাঠ করিতে হইবে । ফোঁটা
দেওয়া শেষ হইলে উক্ত পান সুপারীর উপর একটি সেজদা দিয়ে মন্ত্র জপ করিতে করিতে ঐ
মেয়ের বাড়ি যাইতে হইবে । রাস্তার কথা বলা নিষেদ । সেই বাড়িতে যাওয়ার পর সেই বাড়ীর
কেহ বসিতে বলিলে বসিয়া খাওয়া দাওয়া ও কথা বলা যাইবে । সেই বাড়ির কেহ বসিতে বলিলে
আল্লাহর রহমতে কাজ হইয়াছে বলিয়া মনে করিতে হবে । তখন স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে যাইবে
বলে কথা দিবে ।
আর বাড়ির সকল মানুষ
স্বীকার করিবে যে আপনার সঙ্গে আত্মীয় জীবন ভর থাকিবে । খারাপ নিয়তে মন্ত্র খাটাইলে
কোন প্রকার উপকার হইবে না ।
বাড়ি হইতে মন্ত্র খাটাইয়া
স্ত্রীকে বাড়ি আনার মন্ত্রঃ
আরতাব ইয়ালিন তার তাফ
ইয়ালিন
ছাফফান ছাফফা
লাইলাহা ইল্লা হুওয়া
কা-হা-ইয়া-আইন-ছাদ
হা-মিম-আইন-মিন কাফ
ইয়া মালেক ইয়াও
মেদ্দিন,
ইয়া কানা বুদু
ওয়া ইয়া কানাস তাইম
লাইলাহা ইল্লা আন্তা
ছোবহানাকা
ইন্নি কোনতু মিনাজ্জালেমিন।
মেয়ে ও মেয়ের নাম ছেলে
ও পিতার নাম দরকার।
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ আয়াতটি ভালমত মুখস্ত করিয়া ৭ রবিবার উপরোক্ত মন্ত্র দ্বারা কাজ করিতে হইবে ।
প্রত্যেক রবিবার জোহরের নামাজের পরে ৪০ বার উক্ত আয়াত পাঠ করে লবনের মধ্যে ফু দিয়া
আগুনে দিতে হইবে । সাত রজ কাজ করিলেই ঐ স্ত্রীলোক যেখানে থাকনা কেন তদবীর কারীর বাড়ীতে
আসিয়া পরিবে । অন্যায়ভাবে আয়াতটি খাটাইবে না । প্রত্যেক বার আয়াতটি পড়ার পর বলিতে
হইবে আয় আল্লাহ এই আয়াতের বরকতে অমুকের মেয়ে অমুকের ছেলে অমুকের নিকট আনিয়া দাও ।।
ঐ দোছড়া মন্ত্রঃ
লন সন বন
ফলনীর জন্য ফলনা
জইলা মোড়ে পাঁচ প্রহর
রাতি
ফলনার হাত জ্বলে
পাও জ্বলে জ্বলে
বিছানার বাতি
বিছানার বাতি
বিছানার ভিতরে জ্বলে
আউছ গোপীর মাটি
রামে চালায় মন্ত্র
পবন চালায় রথ
রথে চইড়া আইল দেবী
কইলাসীখর হাঁ হাঁ ধাঁ
ধাঁ করিয়া
(এক বার লবঙ্গ একবার
গোল মরিচ ১৮ প্রকার খড়ির দরকার)
(খ) নং ঐ জোড়া মন্ত্রঃ-
ব্রম্মায় জ্বালায়
অগ্নী
বিষ্ণু যোগায় খড়ি
আইস ফলানী তারাতাড়ি
জ্বালাইলাম ভুত কালি
আইস ফলানী তাড়াতাড়ি ছু
আয় ।
মন্ত্র শিক্ষার নিয়মঃ
অন্য সকল মন্ত্রের ন্যায় উপরোক্ত মন্ত্র দুইটি ভাল করিয়া শিক্ষা করিতে হইবে ।
নিয়মঃ যদি কাহারো
স্ত্রী শশুর বারি আটকানো অবস্তায় থাকে স্বামীর বাড়ী দেওয়ার ইচ্ছা করে না ও স্ত্রী
স্বামীর বাড়ী যাইতে চায় না ঐ ক্ষেত্রে মন্ত্র দুইটি বিশেষ ভাবে দরকার
কারণ স্ত্রী স্বামীর
বাড়ি হইতে অনেক অলংকার লইয়া বাপের বাড়ি যাইয়া গর্ব করে আমি স্বামীর বাড়ি যাব না ।
বিভিন্ন স্থানে উপরোক্ত ঘটনা দেখা যায় । কাজেই আমি প্রেম প্রীতির মন্ত্র গুলি
সুন্দর করে লিখিয়া দিলাম ।
আঠার প্রকার খড়ি ,
২ছটাক গোল মরিচ,দুই ছটাক লবঙ্গ ও অর্দ্ধ ছটাক গাওয়া ঘৃত দরকার । লবঙ্গ ও গোল মরিচ
আলাদা ভাবে ঘি দ্বারা মাখাইয়া রাখিতে হইবে । তাহার পর ত্রিভুজ আকৃতি একটি চুলা
তৈয়ার করিতে হইবে । উক্ত চুলার মধ্যে আঠার প্রকার খড়ি দিতে হইবে । আগুন জবালাইবার
সময় খ নং মন্ত্র তিনবার পাঠ করিতে করিতে আগুন জ্বালাইতে হবে । আগুনের মধ্যে তিন
বার ফু দিতে হবে । চুলা সামনে রাখিয়া স্ত্রীর বাড়ির দিকে মুখ করিয়া বসিতে হবে ।
একবার ঘৃত মাখানো লবঙ্গ ও একবার ঘৃত মাখানো গোল মরিচের মধ্যে আলাদা ভাবে (ক নং)
মন্ত্র পাঠ করে ফু দিতে হবে । তাহার পর লবঙ্গ ও গোল মরিচ একটি করিয়া ২টির মধ্যে খ
নং মন্ত্র তিন দফা পড়িয়া ফু দিয়ে আগুনের মধ্যে দিতে হবে । এই নিয়মে কাজ করিতে হইবে
। সারা রাত্র উক্ত নিয়মে একটি করে গোল মরিচ ও একটি করে লবঙ্গ মন্ত্র পড়িয়া আগুনে
দিতে হইবে ।
আল্লাহর রহমতে প্রথম
রাত্রেই আসিয়া পড়িবে । যদি প্রথম রাত্রে কাজ না হয় তবে ২য় রাত্রে কাজ করিতে হইবে ।
২য় রাত্রের বেশি সময় লাগে না । হারামির কাজে ফল হইবে না ।
নাক দিয়া রক্ত পড়া ও
পেটের অসুখ ভাল হইবার মন্ত্রঃ-
আল্লাহ হইছে ঔষুধ
রসূল হইছে পাটা
ফাতেমা বাটছে দাও
শাহ মরতুজ আলী কয়
ফলনার অংগের জ্বরজারি
বিষ বেদনা আপদ বালাই
বাও বাতাস ঝাইড়া করলাম
ক্ষয় ।
জিব্রাইল মিকাইল
ইসরাফীল আজরাইল
চার ফেরেস্তা চার কোল
ডাইনে বায় মোহাম্মাদুর
রাসূল
ইয়া হু ইয়া হু ইয়া হু
হক্কে আল্লাহ লাইলাহা
ইল্লাল্লাহু
মোহাম্মাদুর রাসূল ।
মন্ত্র শিক্ষা ও কাজ
করার নিয়মঃ মন্ত্রটি অন্যান্য মন্ত্রের ন্যায় ভাল করে মুখস্ত করিতে হইবে ।
মন্ত্রটি বেশ কয়েকটি কাজে লাগে ।
১। মানুষের নাক দিয়া
অনবরত রক্ত ঝড়ে বা অমাবস্যা পূর্নিমার মধ্যে নাকের মধ্যে দুর্গন্ধ হয় বা তাহার
জন্য মাথা ধরে এই সকল রোগের জন্য জলপাই এর বিচির মধ্যে তিন বার মন্ত্র পাঠ অরে তিন
বার ফু দিয়ে রোগীর কমড়ে বাধিয়া দিলে উপরোক্ত রোগ ভাল হয় ।
২। ছোট শিশু কি বড়
মানুষের পেটে বাতাস লাগে তাহাকে কোন কোন জায়গায় কমড়ীড় বাতাস বা পেটের বাতাস বলে ।
সেই রোগীর ঝাড়া ও লবণ আদা পড়িয়া খাওয়াইলে ভাল হয় ।
৩। দুধ খায় এমন শিশুর
পেট খারাপ বা ছিফটি আগা তাহার জন্য কাটা মান্দার ও কার্পাস তুলার ডাল পড়িতে হইবে ।
২টি ডাল ২ জনে ব্যবহার করিতে হইবে । কার্পাস তুলার ডাল দ্বারা বাচ্চার মার বুক ও
কাটা মাদার গাছের ডাল দ্বারা শিশুর পেট নীচের দিকে ঝাড়িতে হইবে । ঝাড়ার পর ডালগুলি
শূন্যে রাখিতে হইবে । তিন দিন সকাল ও বিকালে ব্যবহার করিতে হইবে খোদা চাহে সাফা
হইবে ।
স্ত্রী লোকের রোহিণী রোগের
পানি পড়া মন্ত্রঃ
সূর্যের ডগমগ রক্তের
দ্বারা
জ্ঞান বাঞ্চনা আসমান
তারা
আল্লাহ মুহাম্মদ
তুমি আমার শিব
তোমার ধারে জ্ঞান
মন্ত্র
আমার ধারে দিস ।
মন্ত্র শিক্ষার করার
নিয়মঃ অন্যান্য মন্ত্রের মত মন্ত্রটি শনি বারে শিক্ষা করিতে হইবে । উপরোক্ত
মন্ত্রটি মেয়ে লোকের যে হায়েজ হয় তাহা মাত্র সাত দিন থাকে । তাহার বেশি দিন থাকিলে
বা অনিয়মিত হায়েজ হইলে তাহাকে রোহিণী রোগ বলে বা কোন কোন জায়গায় ডন্ডের বাতাস বলে
। সেই রোগের পানি পড়া মন্ত্র । সেই রোগের জন্য নতুন পাতিলে করে দম করিয়া পানি
আনিয়া পূর্ব দিকে মুখ করে বসে পানি সহ পাতিল সামনে রাখিয়া তিন বার পাঠ করে সেই
পানি রোগীকে তিনদিন খাওয়াইলে আল্লাহর রহমতে রোগ ভাল হবে ।
দুই জন বদকার প্রেমিকার
বিচ্ছেদ ঘটানো মন্ত্রঃ-
তিত করলা নিমের পাত
বিষের হাড়িত দিলাম হাত
ফলানী বেজার কর
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ মন্ত্রটি ভাল করে মুখস্ত করিতে হবে। শনিবার অথবা মঙ্গল বার দিন ১২ প্রকার
তিতা , কানাইর ডিংগা, ডাকের কাঠি, ছেপের মাটি প্রসাবের মাটি, নল বাঁশের চুঙ্গায়
ভরিয়া মন্ত্র তিন বার পাঠ করিয়া চুংগার মধ্যে তিন বার ফু দিতে হবে । দুই জনের
একজনের মধ্যে তিন দিনের মধ্যে বিচ্ছেদ হইয়া যাইবে । উপরোক্ত দ্রব্যগুলি শনিবার
অথবা মঙ্গল্বার দিন চুরি করিয়া আনিতে হবে ।
আগুনে পুড়লে ঠুসা না ওঠার
ঝাড়ার মন্ত্রঃ
আগুন আগুন বরমা আগুন
ভাইগনা বুউয়ে চড়াইছে
ভাত
জলিস না গলিস না আগুন
কালা হইয়া থাক ।
নিয়মঃ মন্ত্রটি ভাল
ভাবে মুখস্ত করিয়া রাখিতে হইবে । কাহারো শরীরে কোন স্থানে পুড়িয়া গেলে সাথে আথে
উক্ত মন্ত্র পাঠ করিয়া ৫/৭ টি ফু দিলে ঠোসা উঠিবে না ।
সন্তান ডেলিভারি করার পানি পড়া মন্ত্রঃ-
আল্লাহ কামাম সিলায়
বসিয়া করে তামাম
ফলনার বাউ বাঘি দাউদ
পাওরি
পেটের সন্তান আল্লাহ
কাইটা করে তামাম
মন্ত্র শিক্ষা ও দম
করার নিয়মঃ ১। হঠাৎ দেখা যায় কোন স্ত্রীলোক সন্তান ডেলিভারি হওয়ার সময় খুব কষ্ট
পায় বা অনেক সময় লাগে উক্ত সময় উপরোক্ত মন্ত্র পাঠ করে পানির মধ্যে তিন দফা দম
করিয়া প্রসূতিকে খাওয়াইয়া দিলে আল্লাহর রহমতে সহজেই সন্তান ভূমিষ্ট হবে ।
২। যদি কোন পুরুষ বা
স্ত্রী ল্পকের পেটের মধ্যে পাথর হয় তবে উক্ত মন্ত্র তিন দফা পাঠ করিয়া পানির মধ্যে
দম করে রোগীকে খাওয়াইলে আল্লাহর রহমতে ২/৩ দিনের মধ্যে পাথর গলিয়া বাহির হইবে ।
৩। যদি কাহারো বাও
বাঘি হয় তবে উক্ত মন্ত্র পাঠ করে সাত কূপের পানির মধ্যে তিন বার ফু দিয়া রোগীকে
সামান্য কিছু পানি খাওয়াইলে ও বাঘীর উপর
পানি ছিটাইয়া দিলে আল্লাহর রহমতে আরাম পাবে ।
মানুষ ও গরুর বাউ
বাতাসের ঝাড়ার মন্ত্রঃ
ত্রিশ কোটি অলিয়ে দেয়
কোন কোন হরফে
নড়বড় গোটকা চলে যায়
টেপা যোড়া ধর্ম ভদ্রা
নেংড়া নোলার বাও
যে পথে আইসত রে বাউ
সেই পথে চইলা যাও
কার আইজ্ঞা হারির
আইজ্ঞা গুরুর পাও
সিদ্দী করে যাও
কাইলকা দেবির মাও ।
মন্ত্র শিক্ষা করার
নিয়মঃ মন্ত্রটি অমাবস্যার রাত্রে নির্জনে বসিয়া শিখিতে হইবে ।
মন্ত্রটি দুইটি রোগের
কাজ করে।
১। গরু বাছুরের যে কোন
রকম বাতাস লাগে তাহা মুথা হাছুন দ্বারা বাটী দিকে বাড়িলে আল্লাহর রহমতে ভাল হইবে ।
২। অদ্ধাঙ্গ রোগীর
মন্ত্র পাঠ করিয়া মুথা হাছন দ্বারা ২/৩ দিন ঝাড়িলে আল্লাহর রহমতে আরোগ্য হয় ।
আপডেট করা হচ্ছে…..